Thursday, April 14, 2011

বাংলা কৌতুক 'স্বামী-স্ত্রী'

ভীষণ সেজেগুজে স্বামীর সামনে গিয়ে দাঁড়াল স্ত্রী।
স্ত্রী: দেখো তো, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে?
স্বামী: মোটামুটি কম খারাপ না!



২-সুখী জীবনযাপন
দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: আমি আর আমার স্ত্রী জীবনের ২০টি বছর সুখী জীবনযাপন করেছি।
দ্বিতীয় বন্ধু: তারপর?
প্রথম বন্ধু: তারপর একদিন….আমাদের দুজনের দেখা হলো!


৩-বিয়ে করার কথা
স্বামী: ও গো শুনছ, একটু পর আমার একজন বন্ধু আসবে।
স্ত্রী: গাধা, বোকার হদ্দ কোথাকার, করেছ কী? দেখো না ঘরের কী অবস্থা? ভাঙা ফুলদানি, কাচের প্লেট, ঝাড়ু ঘরজুড়ে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
স্বামী: এই জন্যই তো ওকে আসতে বলেছি। গর্দভটা বিয়ে করার কথা ভাবছে!


৪-ঘুষ দেওয়ার লোভ
ক্রিকেটপাগল স্বামী প্রতি ছুটির দিনেই ক্রিকেট খেলতে মাঠে ছোটেন।
স্ত্রী: আমার মনে হয়, যে ছুটির দিনে তুমি বাসায় থাকবে, সেদিন আমি খুশিতে মারাই যাব।
স্বামী: আমাকে ঘুষ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লাভ হবে না


৫-সুখী দাম্পত্যের জন্য পুরুষের করণীয়
সুখী দাম্পত্যের জন্য পুরুষের করণীয় দুটো:
১. যখনই কোনো ভুল করবেন, সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করতে ভুলবেন না।
২. যদি আপনার কথাই ঠিক হয়, তাহলে মনের ভুলেও সেটা বলতে যাবেন না।



৬-ধোঁকা
বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে—
সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি!
বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।
সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।



৭-আমি কি কখনো হাঁড়ি চাই
প্রোগ্রামার স্বামী ল্যাপটপ নিয়ে কাজে মগ্ন। স্ত্রী এসে বলল, দাও না গো, একটু খেলি?
মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে উত্তর দিল প্রোগ্রামার, তুমি যখন রান্না করো, আমি কখনো হাঁড়ি চাই তোমার কাছে?


৮-

জানালাটা খুলে দিয়ে যান

মকবুল হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে—
মকবুল: দয়া করে তাড়াতাড়ি ৫০৬ নম্বর কক্ষে চলে আসুন।
হোটেল ম্যানেজার: কেন, সমস্যা কী?
মকবুল: আমার স্ত্রী জানালা দিয়ে লাফ মেরে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে।
হোটেল ম্যানেজার: আপনি স্বামী হয়ে কিছু করছেন না। আর আমি হোটেল ম্যানেজার হয়ে কী করতে পারি, বলুন?
মকবুল: আরে ভাই, এখন কথা বলার সময় নয়। তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কারণ, আমার স্ত্রী কিছুতেই জানালা খুলতে পারছে না। জানালাটা খুলে দিয়ে যান।


৯-বিবাহবার্ষিকী ভুলে গেলে
স্ত্রী বলছে স্বামীকে, বেসিক ইনস্টিংকট ছবিতে শ্যারন স্টোনের ওই বিশেষ দৃশ্যটির কথা তোমার মনে আছে?
—ওই দৃশ্য কখনো ভোলা যায়!
—ওই দৃশ্যের কথা মনে রেখেছ অথচ আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী, সেটা ভুলে গেলে কীভাবে?


১০-উঁচুগলায় কথা
স্ত্রী বলছে স্বামীকে, ‘কাল মা আসবে বেড়াতে।’
নীরবতা।
—মাত্র দুই সপ্তার জন্য।
নীরবতা।
—তুমি শুনছ, কী বললাম?
নীরবতা।
—আমি ঠিকই জানতাম, তুমি রেগে যাবে।
দীর্ঘশ্বাস!
—খবরদার, উঁচুগলায় কথা বলবে না আমার সঙ্গে!


১১-

নিষেধ করছো না কেন

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: শোনো, তোমার বন্ধু যে মেয়েটিকে বিয়ে করতে যাচ্ছে ওই মেয়ে কিন্তু অতোটা ভালো নয়।
স্বামী: এতে আমার সমস্যাটা কী?
স্ত্রী: আরে, জেনেশুনে তোমার বন্ধু খারাপ মেয়েকে বিয়ে করবে! তুমি তাকে নিষেধ করছো না কেন?
স্বামী: আমি কেন তাকে নিষেধ করবো! আমি যখন বিয়ে করি তখন তো সে আমাকে নিষেধ করে নি।


১২-

স্ত্রী নিখোঁজ

মোতালেব পুলিশের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে—
মোতালেব: স্যার, আমার স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে তাকে একটু খুঁজে দিন না।
পুলিশ: কবে থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি?
মোতালেব: মাসখানেক তো হবেই।
পুলিশ: বলেন কী! তা এতোদিন আমাদের জানান নি কেন?
মোতালেব: আমার যে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে এই বিষয়টিই মনে ছিল না, স্যার।
পুলিশ: আজ কী করে মনে হল?
মোতালেব: স্যার, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার পড়ার মতো পরিস্কার কোনো কাপড়-চোপড় না দেখেই মনে হল, আসলেই আমার স্ত্রী নিখোঁজ!


১৩-

খুশিতে…

বাবলুর বউ কাউকে কিছু না বলে দুই দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। দুই দিন পর বাবলুর বউ ফিরে না আসায় বাবলু এক দৌড়ে পোস্টঅফিসে গিয়ে পোস্টমাস্টারকে বলল, ‘ভাই, আমার স্ত্রী দুই দিন আগে বাড়ি থেকে চলে গেছে।’
পোস্টমাস্টার বললেন, ‘আরে ভাই এটাতো পোস্টঅফিস। আপনি থানায় গিয়ে অভিযোগ না করে এখানে এসেছেন কেন?’
‘কী করবো স্যার, খুশিতে আজকে কোনো কিছুই মাথায় আসছে না যে!’—বাবলুর জবাব।


১৪-

কাজগুলো আগেই সেরে ফেলেছিলাম

হাবলু অফিস থেকে বাসায় ফিরেই টেলিভিশনটা ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীকে বলল, ‘কিছু শুরু হওয়ার আগে আমাকে এক গ্লাস পানি দাও তো?’
হাবলুর স্ত্রী পানি এনে দিল। ঠিক পনের মিনিট পর হাবলু আবারো তার স্ত্রীকে বলল, ‘কিছু শুরু হওয়ার আগে আমাকে গরম গরম এক কাপ চা দাও তো?’
হাবলুর স্ত্রী একটু রেগে গিয়ে রান্নাঘর থেকে এক কাপ চা এনে দিল। চা শেষ করার কিছুক্ষণ পরেই হাবলু আবার তার স্ত্রীকে বলল, ‘শুরু হওয়ার আগে তুমি তাড়াতাড়ি আমার জন্য এক বালতি গরম পানি এনে দাও তো। কারণ, যে কোনো মুহুর্তে সেটা শুরু হয়ে যেতে পারে।’
এবারে হাবলুর স্ত্রী রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে চিৎকার করে বলল, ‘হচ্ছেটা কী শুনি? তুমি এমন করছো কেন আমার সঙ্গে? আজই আমি বাবার বাড়ি চলে যাবো। থাকো তুমি একা।’
‘বলছিলাম না যে কোনো মুহুর্তে শুরু হয়ে যাবে। এই বার সেটা শুরু হয়ে গেল। যাক বাবা, কাজগুলো আগেই সেরে ফেলেছিলাম।’


১৫-বউ কাঁদছে
রিয়াজ: তোর বউ কি কাঁদছে নাকি?
সাইফ: হ্যাঁ।
রিয়াজ: কেন?
সাইফ: জানতে চাইনি, চাচ্ছিও না।
রিয়াজ: সেকি! কেন?
সাইফ: কারণ এর আগে যতবার জানতে চেয়েছি প্রতিবার আমাকে দেনায় ডুবতে হয়েছে।


১৬-দুই জন থেকে তিন জন
বিল্টু গ্রামে তার মায়ের কাছে ফোন করেছে—
বিল্টু: মা, একটা সুখবর আছে।
মা: বলিস কি! তাড়াতাড়ি বলে ফেল।
বিল্টু: এখন থেকে আমরা দুই জন থেকে তিন জন হয়ে গেছি, মা।
বিল্টু: এই সুখবরটা এত দেরিতে বললি কেন? তা ছেলে না মেয়ে হয়েছে রে?
বিল্টু: ওসব কিছু না। আমার বউ আরেকটি বিয়ে করে ফেলেছে, মা!


১৭-বউর সাথে ঝগড়া
সাইফ: তুই তোর বউর সাথে ঝগড়া করিস?
রিয়াজ: হ্যাঁ, করি। তবে প্রতিবার ঝগড়ার শেষে ও এসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসে পড়ে।
সাইফ: বলিস কী! তারপর?
রিয়াজ: তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে বলে, ‘খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসো। আর মারব না।’


১৮-আক্কেল
স্ত্রী: এ্যাই, খেলার চ্যানেল পাল্টাও, আমি এখন রেসিপির অনুষ্ঠান দেখব।
স্বামী: রেসিপির অনুষ্ঠান দেখে কি লাভ, তুমি কোনো দিন ওসব রান্না করবে নাকি?
স্ত্রী: এই বুড়ো বয়সে তুমিই বা ক্রিকেট খেলা দেখ কোন আক্কেলে?


১৯-

মেয়েলি যুক্তি

‘তুমি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো?’ একদিন সে জিজ্ঞেস করল স্বামীকে।
‘এ ধরনের প্রশ্ন করে তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছ।’ আহত স্বরে বলল স্বামী, ‘এত দিন একসঙ্গে ঘর করার পর…।’
‘তাহলে তুমি কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করে দেখাও। … না, চুমু খাওয়া শুরু করতে হবে না। পুরুষেরা এ কাজ খুব পারে। তারচেয়ে বলো, আমার মনমেজাজ সব সময় ভালো থাক, তা কি তুমি চাও?’
‘অবশ্যই চাই।’
‘মুখের চামড়ার সুন্দর রং?’
‘নিশ্চয়ই।’
‘কাজ থেকে ফিরে এসে যেন ক্লান্ত হয়ে না পড়ি?’
‘অবশ্যই।’
‘তুমি কি চাও, আমার পরনে সব সময় লেটেস্ট ফ্যাশনের পোশাক থাক?’
‘চাই।’
‘আমার স্বামীর কারণে আমাকে যেন লজ্জা পেতে না হয়, বরং তাকে নিয়ে যেন গর্ব করতে পারি?’
‘খু-উ-ব চাই।’
‘যেন সে আমাকে নিজের মার্সিডিজে চড়িয়ে থিয়েটারে নিয়ে যায়?’
‘চাই, কিন্তু শুধু আমার ভালোবাসা দিয়ে কি এত কিছু সম্ভব হবে?’
‘আমি কিন্তু তোমার কাছে অসম্ভব কিছু দাবি করছি না। তবে এই শুভকামনাগুলো তোমার যদি আমার জন্য সত্যিই থেকে থাকে এবং তুমি যে রকম বলছ, যদি সে রকম আমাকে ভালোবাসো…।’
‘অবশ্যই বাসি।’
‘তাহলে এক্ষুনি আমাকে ডিভোর্স দাও।’


২০-সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে
অভিযোগের সুরে স্ত্রী স্বামীকে বলল, বিয়ের আগে তুমি বলতে, আমি নাকি তোমার ‘সূর্য’। তাহলে এখন প্রতিদিন বারে গিয়ে বিয়ার খাও কেন?
—কী আশ্চর্য! সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে, সেটাই স্বাভাবিক না?


২১-

শুরু করার আগে

অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’
স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’
স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।
পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’
এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’
স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’


২২-

জলদি ঝাঁপ দাও

সমুদ্রতীরে মাছ ধরছে এক দম্পতি। স্বামীর বড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ। কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তূপে। স্বামী চিত্কার করে স্ত্রীকে বললেন, ‘ওগো, জলদি করো! ঝাঁপ দাও! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও। নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে!’


২৩-এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার
স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতে গেছেন—
স্বামী: আমি আমার স্ত্রীকে আজই তালাক দিতে চাই। আপনি একটু ব্যবস্থা করুন।
আইনজীবী: কেন, সমস্যা কী আপনাদের?
স্বামী: আমার স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে না।
আইনজীবী: আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।


২৪-পাগল তো সবকিছুই করতে পারে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: আচ্ছা, যদি আমি মরে যাই তাহলে তুমি কী করবে?
স্বামী: আমি পাগল হয়ে যাব।
স্ত্রী: তুমি কি পরে আবার বিয়ে করবে?
স্বামী: পাগল তো সবকিছুই করতে পারে, তাই না



২৫-ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি
রঞ্জু রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। কিছুদিন পর রঞ্জু একটি ছাগল নিয়ে বাসায় এল।
এটা দেখে রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ‘ওই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?’
রঞ্জু রেগে বলল, ‘বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা ছাগল!’
‘আমি তো ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি।’—রঞ্জুর স্ত্রীর জবাব।


২৬-শেষ দিন পর্যন্ত থেকে যাবে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা নিয়ে কথা হচ্ছে—
স্বামী: তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি।
স্ত্রী: তাই নাকি!
স্বামী: জানো, তোমার জন্য আমি পৃথিবীর শেষ সীমানা পর্যন্ত যেতে পারি।
স্ত্রী: হুমম, কিন্তু কথা দাও, আমার জন্য হলেও তুমি সেখানে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থেকে যাবে।


২৭-দ্বিগুণ ভালোবাসি
কঠিন ঝগড়ার পর স্ত্রী মুখ গোমড়া করে বসে আছে দেখে বিল্টু তার স্ত্রীকে বলল, ‘মানুষ তাকেই থাপড় মারতে পারে, যাকে কিনা প্রচণ্ড ভালোবাসে।’
এ কথা শুনেই বিল্টুর স্ত্রী বিল্টুর গালে কষে দুই থাপড় মেরে বলল, ‘তুমি কি ভাবছ যে আমি তোমাকে ভালোবাসি না! দেখলে এবার, আমি তোমাকে দ্বিগুণ ভালোবাসি।’


২৮-

সন্তানসন্ততির দায়ভার

এক দম্পতি আদালতে গেছেন তালাক দিতে। কিন্তু স্ত্রী তালাক দিতে নারাজ। আদালতে বেশ কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন তিনি।
বিচারক ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কাঁদছেন কেন? তালাক হলে তো আপনার স্বামী আপনাকে খোরপোষ দেবেন। তাতে তো ভালোই চলে যাওয়ার কথা।’
ভদ্রমহিলা বললেন, ‘আমাদের ৪৫ বছর বিয়ের বয়সে ১৬ জন সন্তান হয়েছে। আর নাতি-নাতনি মোট ২৩ জন।’
বিচারক বললেন, ‘তাতে সমস্যাটা কী?’
ভদ্রমহিলা বললেন, ‘কিন্তু বিয়ের সময় আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, তালাক হলে সব সন্তানসন্ততির দায়ভার যে আমাকেই বহন করতে হবে।’

২৯-মাছি মারা
বসে বসে পতিপ্রবরের মাছি মারা দেখে স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করছে—
স্ত্রী: কী করছ তুমি?
স্বামী: দেখছ না, মাছি মারছি।
স্ত্রী: তা কয়টা হলো?
স্বামী: তিনটা পুরুষ আর দুইটা স্ত্রী মাছি মারলাম।
স্ত্রী: কী করে পুরুষ-স্ত্রী বুঝলে?
স্বামী: কারণ, দুইটা মাছি ফোনের কাছে ঘুরঘুর করছিল, আর তিনটা মাছি দূর থেকে তা দেখছিল।


৩০-কিপ্টেমি
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন—
স্বামী: পাশের ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে একটু চিনি নিয়ে এসো তো?
স্ত্রী: ওরা আমাদের চিনি দেবে না।
স্বামী: ওরা তো খুব কঞ্জুস!
স্ত্রী: ওদের কিপ্টেমির কথা আর বোলো না।
স্বামী: তাহলে আর কী করা; আমাদের আলমারি থেকেই চিনি বের করে চা করে নিয়ে এসো যাও।


৩১-বিবাহবার্ষিকী পালন
বিবাহবার্ষিকী নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: তোমার কি মনে আছে, কাল আমাদের ১৩তম বিবাহবার্ষিকী?
স্বামী: হুমম, তো কী হয়েছে?
স্ত্রী: এই দিনটি কী করে পালন করব বলো তো?
স্বামী: তুমি কী করবে জানি না, তবে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই মিনিট নীরবতা পালন করব।


৩২-রাতের খাবার
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর স্বামী বাসা থেকে চলে গেছেন। তাঁদের মধ্যে মুঠোফোনে কথা হচ্ছে—
স্বামী: আজ রাতের খাবার কী?
স্ত্রী: বিষ আছে বিষ!
স্বামী: ঠিক আছে, তুমি খেয়ে শুয়ে পড়ো। আমার ফিরতে আরও দেরি হবে।


৩৩-

মাছ ধরা

স্ত্রীর সঙ্গে এক বিখ্যাত চলচ্চিত্র তারকার সব সময় খিটিমিটি লেগে থাকত। মূল কারণটা হলো, স্বামী বেশির ভাগ সময় পার করতেন মাছ ধরে। খুঁজতে গিয়ে একদিন চলচ্চিত্র তারকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফোন করে জানতে চাইলেন তিনি কোথায়।
‘ব্রিজের নিচে চলে যান’, শুষ্ক গলায় জবাব দিলেন তারকার স্ত্রী, ‘এদিক-ওদিক তাকান, তারপর যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি লাঠির দুই মাথায় দুটি কেঁচো দেখতে পাবেন, ততক্ষণ খুঁজতে থাকুন।’


৩৪-ঘুষের টাকাতেই সংসার
ঘুষ নেবার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে চাকরিটা চলে গেল জামান সাহেবের। বিষন্ন মনে ঘরে ফিরলেন।
স্ত্রী সব শুনে তার মুখে হাসি ফোটবার জন্য বললেন, বরাবরই তো দেখি আসছি তোমার মাইনের টাকার চেয়ে ঘুষের টাকাই বেশি; এবার থেকে না হয় ঘুষের টাকাতেই সংসার চলবে; এত ঘাবড়াবার কী আছে?

৩৫-

দরজা খোলাই আছে

শীতের ঠান্ডায় গলা বসে গেছে সাংবাদিকটির, শরীরটাও জ্বর-জ্বর। তাই একটু আগে ভাগেই ছুটি নিয়ে বাড়িতে বিশ্রম করতে এলেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকতে গিয়ে দেখেন, গলা একেবারে বসে গেছে। তাই অনন্যোপায় হয়ে পাঁচিল টপকে স্ত্রীর ঘরের জানালায় টোকা দিতে দিতে বন্ধ গলায় বললেন, দরজা খোল।
প্রায় সঙ্গে-সঙ্গে স্ত্রীর চাপা গলা শোনা গেল, দরজা খোলাই আছে, চলে এস। সাংবাদিক ফের ফিরে গেলেন অফিসে।

৩৬-

স্লিপ চালাচালি

স্বামী-স্ত্রীতে কথা বন্ধ। দু’পক্ষের মধ্যে স্লিপ চালাচালি চলছে ছোট ছেলের মাধ্যমে। ভোরে ট্রেন ধরতে হবে, তাই স্বামী লিখলেন- ‘ভোর সাড়ে তিনটায় জাগিয়ে দিও।’
যথারীতি ছোট ছেলের মাধ্যমে স্লিপ পৌছাল স্ত্রীর হাতে।
পরদিন ঘুম যখন ভাঙল, তখন সাতটা। স্বামী ধড়মড় করে উঠে দেখেন মাথার কাছে স্ত্রীর স্লিপ পড়ে রয়েছে। তাতে লেখা- এখন সাড়ে তিনটা বাজে। উঠে ট্রেন ধরতে যাও।

৩৭-কিছুই টের পাই নি
সকালে চায়ের টেবিলে একখানা ডিটেকটিভ বই ফেলে দিয়ে স্বামী স্ত্রীকে বলল, দারুণ বই, আমি কাল রাত দুটো পর্যন্ত এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করেছি।
: কিন্তু কাল বারটার পরই লোডশেডিং হয়ে গেল যে। পড়লে কী করে?
: পড়তে পড়তে এতই মগ্ন ছিলাম যে কিছুই টের পাই নি।

৩৮-

তালি মেরে দিয়েছি

স্বামী অফিসে যাওয়ার সময় স্ত্রী বলল, একটা অন্যায় করে ফেলেছি। রাগ করবে না বল?
: তোমার ওপর কি রাগ করতে পারি? কী হয়েছে?
: ইস্ত্রি করার সময় তোমার প্যান্টের পিছনটা পুড়ে ফেলেছি।
: তাতে কী হয়েছে? আমার তো ঠিক ওই রকম আরো একটা প্যান্ট আছে।
: জানি, সেই প্যান্টটা কেটেই তো পোড়া প্যান্টটা তালি মেরে দিয়েছি।


৩৯-যতবার জানতে চেয়েছি
ড্রইংরুমে বসে আছে দুই বন্ধু। ভেতর থেকে কান্নার শব্দ আসছে।
: তোমার স্ত্রী কাঁদছে মনে হচ্ছে।
: হ্যাঁ।
: কী হয়েছে?
: জানতে চাই নি।
: সেকি। কেন?
: যতবার জানতে চেয়েছি ততবারই আমাকে দেনায় ডুবতে হয়েছে।


৪০-ট্রেন ফেল
ট্রেন ফেল করে স্টেশনে বসে আছে স্বামী-স্ত্রী।
স্বামী : আসার সময় তুমি যদি সাজগোজে এত দেরি না করতে, তা হলে এ ট্রেনটা মিস করতে হত না।
স্ত্রী : তুমিও যদি এ ট্রেনটা ধরবার জন্য এত তাড়াহুড়া না করে আসতে, তা হলে পরের ট্রেনের জন্য এতক্ষণ বসে থাকতে হত না।


৪১-

ছবিটা কার

স্বামীর মৃত্যুর কয়দিন পরেই এক মহিলা তার দেবরকে বিয়ে করে ফেললেন। তার বান্ধবীদের অনেকেই ব্যাপারটা মনঃক্ষুন্ন হল। একদিন মহিলার বাড়িতে বাড়িতে এসে তার বান্ধবীরা লক্ষ করল, শোবার ঘরের দেওয়ালে তার মৃত স্বামীর বিশাল একটা ছবি টানানো। সবাই খুব খুশি হল ছবি দেখে। এদের মধ্যে একজন ছিল নতুন। সে মহিলার স্বামীকে চিনত না। ছবি দেখে তাই জানতে চাইল, ছবিটা কার?
মহিলা বললেন, আমার ভাশুরের। কয়েকদিন আগে মারা গেছেন।


৪২-বিনিময়ে
স্বামীকে খাইয়ে নববধু সলজ্জ কন্ঠে জানতে চাইল, এভাবে পুরোটা বছর যদি রোজ রোজ তোমাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াই তা হলে বিনিময়ে আমি কী পাওয়ার আশা করতে পারি?
গম্ভীর মুখে স্বামী বলল, আমার জীবন বীমার সব টাকা।


৪৩-

বউয়ের চোখে শাড়ি

: কাল আমার ছেলেটার চোখে একটা বালি পড়ল। ডাক্তার দিয়ে বের করাতে গিয়ে এক শ’টাকা বেরিয়ে গেল।
: আরে ভাই, আমার তুলনায় ও তো কিসসু না। বেড়াতে বেরিয়ে বউয়ের চোখে একটা শাড়ি পড়েছিল : এক হাজার টাকা বেরিয়ে গেছে।


৪৪-বিবাহবার্ষিকী পালন
বিবাহবার্ষিকী নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: তোমার কি মনে আছে, কাল আমাদের ১৩তম বিবাহবার্ষিকী?
স্বামী: হুমম, তো কী হয়েছে?
স্ত্রী: এই দিনটি কী করে পালন করব বলো তো?
স্বামী: তুমি কী করবে জানি না, তবে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই মিনিট নীরবতা পালন করব।


৪৫-রাতের খাবার
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর স্বামী বাসা থেকে চলে গেছেন। তাঁদের মধ্যে মুঠোফোনে কথা হচ্ছে—
স্বামী: আজ রাতের খাবার কী?
স্ত্রী: বিষ আছে বিষ!
স্বামী: ঠিক আছে, তুমি খেয়ে শুয়ে পড়ো। আমার ফিরতে আরও দেরি হবে।


৪৬-সবচাইতে বড় বন্ধু
: আমার স্ত্রী যার সঙ্গে পালিয়ে গেছে সে আমার সবচাইতে বড় বন্ধু।
: তাই নাকি? লোকটা কি দেখতে খুবই সুন্দর?
: কী জানি, জীবনে তাকে দেখি নি তো।


৪৭-স্ত্রী রাতে বারে যায়
দু’বন্ধুর মাঝে আলাপ হচ্ছে।
: স্ত্রীর জন্য আমার আর মুখ দেখাবার উপায় রইল না। রোজ রাতে বারে যায়।
: ছিঃ ছিঃ ছিঃ কী জঘন্য কথা! কী করে বারে গিয়ে?
: আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।


৪৮-বোকার মতো টাকাটাই দিয়ে এলে
স্বামী: ওগো শুনছ, সর্বনাশ হয়ে গেল।
স্ত্রী: কী হয়েছে?
স্বামী: আজ মাইনে নিয়ে অফিস থেকে বাড়ি আসার পথে দুই ছোকরা পিস্তল দেখিয়ে বলল, হয় টাকা দাও না হলে জান দাও।
স্ত্রী: আর তুমিও বোকার মতো টাকাটাই দিয়ে এলে!


৪৯-

টাকাগুলো ওই ব্যাগেই আছে

এক চীনা ভদ্রলোক বাজারে যাওয়ার পথে ব্যাগ হারিয়ে হাঁড়িমুখো হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
হাতে বাজারের ব্যাগ না দেখে তাঁর বদমেজাজি বউ খেঁকিয়ে উঠলেন, ‘হাত খালি কেন? বাজার কোথায় শুনি!’ ভদ্রলোক ঘাড় চুলকে বললেন, ‘ইয়ে মানে, বাজারে আজ পা ফেলার উপায় নেই। তার ওপর ব্যাগটাও হারিয়ে ফেলেছি!’
তা শুনে বউয়ের মেজাজের পারদ আকাশমুখী, ‘তা বেশ, টাকাগুলো আছে তো, নাকি তাও ফেলে এসেছ?’
ভদ্রলোক এ-গাল ও-গাল হাসি হেসে বললেন, ‘না, না, না ও নিয়ে চিন্তা কোরো না! টাকাগুলো ওই ব্যাগেই আছে। আর ব্যাগের মুখটাও কষে বেঁধেছিলাম আজ।’


৫০-স্ত্রীও দেখে ফেলেছে
প্রথম বন্ধু: কিরে, তোর চোখের ওপর ব্যান্ডেজ কেন? গালেও তো দেখছি চোট লেগেছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও না দেখলাম এক সুন্দরী মহিলার সঙ্গে পার্কে বসে আছিস! এরই মধ্যে হঠাৎ কী হলো?
দ্বিতীয় বন্ধু: গতকাল তুই যা দেখেছিলি আমার স্ত্রীও তা দেখে ফেলেছে।



৫১-কোথায় যাওয়া যায়
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে।
স্ত্রী: চিকিৎসক আমাকে এক মাসের জন্য কোন পাহাড়ি এলাকায় বেড়িয়ে আসতে বলেছেন। বল তো কোথায় যাওয়া যায়?
স্বামী: কেন! অন্য চিকিৎসকের কাছে।


৫২-সারপ্রাইজ গিফট
: তোর স্যুটটা তো বেশ সুন্দর। কোথায় পেলি?
: এটা আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটা সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে।
: কেমন সারপ্রাইজ গিফট?
: আমি অফিস থেকে ফিরে দেখি সোফার উপর এই স্যুটটা পড়ে আছে।


৫৩-

নারী বনাম পুরুষ

হাতের লেখা
পুরুষ : লেখা কোনো রকমে পড়া গেলেই হলো। কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং কী হচ্ছে তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না।
নারী : লেখা হতে হবে মুক্তোর মতো ঝরঝরে।
কেনাকাটা
নারী : প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট বানিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলো কিনে আনে।
পুরুষ : যতক্ষণ না বাড়ির চাল-ডাল সব শেষ বলে বউ চেঁচাতে শুরু করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যেতে চায় না। বাজারে গিয়ে যা পছন্দ হয় তা-ই কিনতে চায়। কখনো কখনো দাম দিতে গিয়ে দেখে, সে মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছে।
মিতব্যয়িতা
নারী : এক টাকা দামের জিনিসের জন্য কখনোই দুই টাকা খরচ করবে না। তা সে যত পছন্দসই হোক না কেন।
পুরুষ : যা পছন্দ হবে তা কিনতেই হবে। জিতে কিংবা ঠকে যেভাবেই হোক।
তর্ক
নারী : তর্কাতর্কির শেষ কথাটি হবে নারীর।
পুরুষ : নারীর পর পুরুষের কথা বলা মানে নতুন তর্কের শুরু।
প্রেম
পুরুষ: প্রতিটি পুরুষই চায় কোনো নারীর প্রথম প্রেম হতে।
নারী: নারীরা চায় তারা তাদের ভালোবাসার পুরুষটির শেষ প্রেম হোক।
ব্রেকআপ
নারী : সম্পর্ক ভেঙে গেলে কাছের কোনো বান্ধবীকে জড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকে। কিংবা ‘পুরুষ বড় নির্বোধ’ জাতীয় কবিতা লেখা শুরু করে এবং নতুনভাবে জীবনটা শুরু করার চেষ্টা করে।
পুরুষ : ব্রেকআপ হওয়ার ছয় মাস পরও সাবেক প্রেমিকাকে রাতবিরেতে ফোন করে ‘ডাইনি, তুই আমার জীবনটা শেষ করে দিলি’—এ জাতীয় ডায়ালগ ঝাড়তে থাকে।
বিয়ে
নারী : মনে করে বিয়ের পর হাজব্যান্ড বদলে যাবে, কিন্তু তা হয় না।
পুরুষ : মনে করে প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার পরও একই রকম থাকবে। কিন্তু স্ত্রী বদলে যায়।
স্মৃতি
নারী : যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারা জীবন মনে রাখে।
পুরুষ : সেসব নারীকে মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি।
বাথরুম
পুুরুষ : সাধারণত ছয়টি জিনিস থাকে। সাবান, সেভিং ক্রিম, রেজর, টুথব্রাশ, আর তোয়ালে (ক্ষেত্রবিশেষে কোনো হোটেল থেকে চুরি করা)।
নারী : সাবান, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট তো আছেই সেই সঙ্গে শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপস্টিক….আরও কত কী! বেশির ভাগ জিনিস পুরুষেরা চিনবেই না।
জুতো
নারী : গরমের দিনে অফিস ডেস্কের নিচে পা ঢুকিয়ে জুতো খুলে রাখে।
পুরুষ : সারা দিন এক জুতা-মোজাই পায়ে দিয়ে রাখে।
পশু-পাখি
নারী : পশু-পাখি ভালোবাসে।
পুরুষ : পশু-পাখিকে কষ্ট দিতে ভালোবাসে।
সন্তান
নারী : নারীরা তাদের সন্তানদের পুরোপুরি চেনে। তাদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, বন্ধু, গোপন ভয় এমনকি গোপন প্রেম সম্পর্কেও তারা জানে।
পুরুষ : নিজের বাড়িতে মোট কয়জন মানুষ আছে তা-ও সব সময় মনে রাখতে পারে না।
অলংকার
নারী : যেকোনো ধরনের অলংকার পরলেই নারীদের সুন্দর দেখায়।
পুরুষ : বড়জোর একটা আংটি কিংবা ব্রেসলেট। এর চেয়ে বেশি কিছু পরলেই লোকে মন্দ বলতে শুরু করে।
বন্ধু
নারী : বান্ধবীরা মিলে আড্ডা দিতে গেলে নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপেই ব্যস্ত থাকে।
পুরুষ : পুরুষদের আড্ডায় ‘দোস্ত তোর লাইটারটা দে তো’ জাতীয় কথাবার্তাই বেশি শোনা যায়।
বাইরে খাওয়া
নারী : ভাগাভাগি করে বিল দেয়।
পুরুষ : সবাই চায় অন্যের ওপর বিল চাপিয়ে দিতে। কারও কাছেই ভাংতি থাকে না।
কাপড় ধোয়া
নারী : প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কাপড় কাচে।
পুরুষ : চিমটি কাটলে ময়লা বের না হওয়া পর্যন্ত কাপড়ে সাবান ছোঁয়ায় না।



৫৪-

গলা নামিয়ে বলো

এক কৃষক খালি হাতে মাঠ থেকে ঘরে ফিরে এল।বউ জিজ্ঞেস করল, আরে, তোমার কোদাল কোথায়?
গলা চড়িয়ে কৃষক বলল, যাহ, কোদাল ভুলে মাঠে ফেলে এসেছি।
বউ শান্ত গলায় বলল, গলা নামিয়ে বলো। কথাটা কেউ যদি শুনতে পায় তা হলে সে মাঠে গিয়ে তোমার কোদাল চুরি করে নিয়ে যাবে। যাও, তাড়াতাড়ি মাঠে গিয়ে কোদাল নিয়েএসো।
কৃষক তাড়াতাড়ি মাঠে গেল। কিন্তু কোথায় কোদাল? চুরি হয়ে গেছে।
বাড়ি ফিরে কৃষক গলা নামিয়ে বউয়ের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, কোদাল চুরি হয়ে গেছে।


৫৫-এক ছাদের নিচে জীবন পার
সবার বাড়ির ওপর একটা ছাদ থাকে। তোর বাড়ির ওপর তো দেখছি বারোটা ছাদ, ঘটনা কী?
: হ্যাঁ, মাসে মাসে আবার সেগুলো পরিবর্তনও হয়।
: কেন?
: আমার স্ত্রী যাতে বলতে না পারে এক ছাদের নিচে জীবন পার করে দিলাম।


৫৬-

বইয়ের নাম—খোয়াবনামা

বিবাহবার্ষিকীর রাতে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, ‘শোনো, আমি স্বপ্ন দেখলাম যে তুমি আমাকে কাল সকালে একটি নেকলেস ও হীরার আংটি দিচ্ছ। এর মানে কী, তুমি বলতে পার? তুমি কি সত্যিই আমাকে এগুলো কিনে দেবে?’
শুনেই স্বামীর পিলে চমকে গেল। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্বামী হন্তদন্ত হয়ে বাইরে গেলেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন কাগজে মোড়ানো একটি প্যাকেট নিয়ে। প্যাকেট দেখেই স্ত্রীর তো চোখ-মুখ হাসিতে ঝলমল। দ্রুত স্ত্রী প্যাকেট খুললেন। ভেতরে একটা বই। বইয়ের নাম—খোয়াবনামা।


৫৭-সম্মোহনবিদ্যা
স্বামী: সম্মোহনবিদ্যা আবার কী গো?
শিক্ষিত স্ত্রী: সম্মোহনবিদ্যা জানলে দ্বিতীয় কোনো মানুষকে নিজের বশে রেখে তাকে দিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করানো যায়।
স্বামী: ওটা আবার সম্মোহনবিদ্যা নাকি? ওটা তো বিয়ে।


৫৮-

স্বামীর কাজ

প্রবীণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাত্কার নিতে এসে সাংবাদিক জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, আপনি বিয়ে করেননি কেন?’ মুচকি হেসে রাজনীতিবিদ বললেন, ‘এর পেছনে রয়েছে একটি ঘটনা। আজ থেকে বিশ বছর আগে একদিন এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমার সামনেই বসে ছিলেন শাড়ি পরা এক মহিলা। আমি চেয়ার থেকে উঠতে গেলে হঠাত্ তাঁর শাড়িতে একটু পা লেগে যায় আমার। নিচের দিকে তাকিয়েই মহিলা গাধা, উল্লুক, টিকটিকি, বেবুন, হনুমান, মুখপোড়া বলে শুরু করেন গালাগাল। হঠাত্ মুখ তুলে আমাকে সামনে দেখতে পেয়ে বলেন, “দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না। আমি ভেবেছিলাম এটা বুঝি আমার স্বামীর কাজ”।’


৫৯-কবে পুরোপুরি মনে হবে
গিন্নি : তোমাকে ঠিক গাঁজাখোরের মতো দেখতে লাগছে।
কর্তা : এখনো মতো। বল কী গিন্নি? গত ত্রিশ বছর ধরে গাঁজা খাচ্ছি, তবুও ‘মতো’
তবে কবে পুরোপুরি মনে হবে।


৬০-

সুদসহ ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম

স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ জামাই এলেন শ্বশুরবাড়ি। বললেন, আমি সন্ন্যাস নেব স্থির করেছি।
: সে কী ! সন্ন্যাস নেবে কেন?
: পরকালের কাজ করব তাই। যাই হোক আমি সন্ন্যাস গ্রহণের আগে কারো কাছে কোনো ঋণ রাখব না। সব শোধ করে দিয়ে যাব।
: আমার কাছে তো তোমার কোনো ঋণ নেই।
: আছে দশ বছর আগে আপনি আমাকে কন্যা সম্প্রদান করেছিলেন। আজ তা সুদসহ ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম।


৬১-জীবনের সবচেয়ে বড় অশান্তি
দুই বান্ধবীর বহু বছর পর দেখা। এক বান্ধবী অপরজনের হাতের দামি হীরার আংটির প্রশংসা করায় বান্ধবী বলল, ‘আংটিটা সুন্দর, কিন্তু এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অশান্তি বয়ে নিয়ে এসেছে, আমার স্বামীকে।’

৬২-পর্দানশিন
আরব দেশে এক লোক কুৎসিত এক মহিলাকে বিয়ে করল। রীতি অনুযায়ী মহিলা খুবই পর্দানশিন। তো বাসররাতে মহিলা স্বামীকে বলল-
: মালিক আমি কি আপনার বন্ধুদের সামনে পর্দা করব?
: দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্বামী বললেন-“ওদের সামনে পর্দা করার দরকার নেই, আমার সামনে কোরো।”


৬৩-

গানের গীতিকার

গান শুনতে এসে মঞ্চে বসা আরেক ব্যক্তির সাথে কথা বলছেন এক শ্রোতা।
: ওফ ! অবস্থাটা দেখেছেন? যেমন গায়িকার চেহারা তেমনই গলা। যেন করাত দিয়ে কাঠ কাটছে।
: সে আমার স্ত্রী-ভদ্রলোক প্রত্যুত্তরে জানালেন।
: ও…ইয়ে…আসলে গলার তেমন দোষ নেই তবে গানের জঘন্য কথাগুলোর জন্য তা গাইতে সমস্যা হচ্ছে। এসব গর্দভ গীতিকারদের গান আপনার স্ত্রীকে গাইতে দেন কেন?
: এই গানের গীতিকার আমিই।-ভদ্রলোক আবার বললেন।

৬৪-ব্যক্তিগত ও অতি গোপনীয়
নতুন এক গয়নার দোকানের মালিক সিদ্ধান্ত নিলেন তাদের দোকানের বিজ্ঞাপন শহরের প্রতিটি বিবাহিত মহিলার হাতে পৌছে দিতে হবে। তিনি বিজ্ঞাপনগুলো খামে ভরে তাদের স্বামীদের নামে পাঠিয়ে দিলেন, আর খামের ওপরে লিখে দিলেন- ব্যক্তিগত ও অতি গোপনীয়।

৬৫-খুঁড়ে বের করা হয়নি
: আমার স্ত্রী আর আমি এ বছর সি বিচে গিয়ে খুব মজা করেছি।
: কী রকম?
: প্রথমে বালিতে ও আমাকে কবর দিল, পরেরবার দিলাম আমি-
: যাহ দারুণ।
: দেখি আগামী বছর আবার যাব, ওকে খুঁড়ে বের করা হয়নি কিনা।


৬৭-টিকিট কেটেছিলেন আমার স্বামী
: আচ্ছা আপনি ছুটিতে কি সিঙ্গাপুর গিয়েছেলেন?
: ঠিক বলতে পারছি না টিকিট কেটেছিলেন আমার স্বামী।


৬৮-ফরাসি শিশুকে দত্তক
এক নবদম্পতিকে দেখা গেল হঠাৎ করে ফ্রেঞ্চ শেখা শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেশী কারণ জানতে চাইল, “আপনারা হঠাৎ করে ফরাসি ভাষা শিখছেন ব্যাপার কী?”
“আমরা যে একটা ফরাসি শিশুকে দত্তক নিয়েছি।”

৬৯-নিজের ছেলেকেও
এক দার্শনিক একটি ছেলে কোলে করে বাড়ি ঢুকলেন। স্ত্রীকে বললেন, দেখ, এতটুকু ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে, বড় মায়া হল, ওকে কোলে করে নিয়ে এলাম। ওকে আমাদের খোকার সঙ্গে মানুষ কর।
দার্শনিকের স্ত্রী মুখ ঝামটা দিয়ে উঠলেন, তুমি কি চোখের মাথা খেয়েছ? নিজের ছেলেকেও চিনতে পারছ না?

৭০-খুব উত্তেজিত মহিলা তো
: জানিস আমাদের ডাক্তারবাবু খুব ভুলো।
: যেমন।
: বিয়ের দিন পুরোহিত যখন মন্ত্র পড়াতে পড়াতে ওর হাতে স্ত্রীর হাত তুলে দিলেন, উনি স্ত্রীর নাড়ি টিপে ধরে বললেন-খুব উত্তেজিত মহিলা তো। তারপর বললেন, জিভ দেখি।


৭১-

বাড়িটা সত্যিই লোভনীয়

একটি বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল পত্রিকায়। সেটি দেখে একজন ক্রেতা এলেন বাড়ি কিনতে। বাড়ির মালিক বললেন, বাড়ি বিক্রি করব না।
: সে কী? তবে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন কেন?
: বিজ্ঞাপন আমি দিলেও, লিখেছে তো কোম্পানির লোক।
: কিন্তু আপনার কথামতোই তো লিখেছে।
: তা লিখেছে। কিন্তু পড়ে মনে হচ্ছে বাড়িটা সত্যিই লোভনীয়। তাই আমি এবং আমার স্ত্রী ঠিক করেছি, বাড়িটা আর বিক্রি করব না।

৭২-

তুমিই আমার সব দুর্ভাগ্য

এক ব্যক্তি দুর্ঘটনায় পড়ে কোমাতে চলে যান। স্ত্রী কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন তার সেবা করল । ঐ ব্যক্তির জ্ঞান যখন ফিরল তিনি দেখলেন তার স্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বললেন, ‘প্রিয়তমা, তুমি আমার সকল দুঃসময়ে আমার সঙ্গে ছিলে। যখন আমার চাকরি চলে গেল, তখনও তুমি আমার পাশে ছিলে। যখন আমি ব্যবসায় মার খেলাম তখনও তুমি আমার সঙ্গে ছিলে। যখন সন্ত্রাসীরা গুলি করল তখন তো তুমি আমার সঙ্গেই ছিলে। যখন আমি বাড়িটা হারালাম তখনও তুমি আমার সঙ্গে ছিলে। এমনকি যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম তখনও তুমি আমার ছেড়ে যাও নি। এখন এসব কথা যখন ভাবি তখন আমার কী মনে হয় জান?’
: প্লিজ চুপ কর তো, তুমি অসুস্থ।
: না আমাকে শেষ করতে দাও … মনে হয় তুমি … তুমিই আমার সব দুর্ভাগ্য টেনে এনেছ।


৭৩-এমনই মিথ্যে বলে
সার্জেন্ট প্রচন্ড গতির গাড়িকে থামাল
সার্জেন্ট : কেন আপনার গাড়ি থামিয়েছি বুঝতে পারছেন?
চালক : ১০০ কিলোমিটার স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছি তাই …?
স্বামীকে আশু বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করতে তার পাশে বসা স্ত্রী বলে উঠল-
: না না অফিসার, ওর কথা বিশ্বাস করবেন না! মদে চুর হলে ও এমনই মিথ্যে বলে।


৭৪-

একজন না, হাজার হাজার

রেডিওর বিশেষ বুলেটিন, ‘এই মুহুর্তে একজন ভয়ঙ্কর পাগল প্রচন্ড স্পিডে মেইন রোডে উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।’ এমন খবর শুনে এক বৃদ্ধা সাথে সাথে তার স্বামীকে মোবাইলে ফোন করল যে কি না একটু আগেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে। স্ত্রীর সাবধান বানী শুনে বৃদ্ধা বলল- ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি দেখতে পাচ্ছি … কিন্তু শুধু একজন না, হাজার হাজার ।


৭৫-

ট্যাক্সি ডেকে দিচ্ছি

: আচ্ছা এ কথা কি সত্যি যে তুই তোর বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পালিয়ে বিয়ে করার চিন্তা করেছিলি ?
: হ্যাঁ ! সেদিন রাতে ওকে নিয়ে পালানোর জন্য ওর বাড়ি পর্যন্ত ও গিয়েছিলাম।
: তাহলে তাকে নিয়ে পালালি না কেন?
: আর বলিস না, বাড়ির মুখেই আমার বন্ধুর সাথে দেখা! সে আমাকে দেখেই খুশিতে ডগমগ হয়ে বলল ‘দাঁড়া, তোদের ট্যাক্সি ডেকে দিচ্ছি’।


৭৬-আরাম করে দেখব
স্বামী-স্ত্রীর কথা হচ্ছে-
: আচ্ছা এভাবে যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা কী করব ?
: সবাই যখন কষ্ট করে জিনিসপত্র কিনবে আমরা আরাম করে বসে বসে দেখব।


৭৭-অন্য লোকের বাড়িতে
: আপনি এত রাতে অন্য লোকের বাড়িতে ঢুকেছিলেন কেন ?
: ভেবেছিলাম ওটা আমার বাড়ি।
: তাহলে সে বাড়ির মহিলাকে দেখে আবার ছুটে বেরিয়ে এসেছিলেন কেন ?
: ভেবেছিলাম সে আমার স্ত্রী …।


৭৮-সাধু হতে
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার এক সময়ে স্ত্রী রেগে বলল-‘আমি আমার বাবার সব সম্পতি সাধুদের বিলিয়ে দেব। একথা শুনে স্বামী ব্যাগ গুছাতে শুরু করল। স্ত্রী আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল-
: এ কী ! কোথায় চলবে ?
: সাধু হতে- স্বামী জানাল।



৭৯-

তুচ্ছ জিনিস ভেসে ভেসে ফেরত আসে

স্ত্রীকে নদীতে সাঁতার কাটতে নামিয়েছে জনৈক ব্যক্তি। হঠাৎ প্রচন্ড স্রোতে স্ত্রী ভেসে মহিলা চিৎকার করে উঠল-
: সর্বনাশ ! আমার হীরের আংটিটা পানিতে ডুবে গেছে।
দুঃখিত স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে স্বামী বলল-
: এ নিয়ে মন খারাপ কোরো না গো, জীবনটাই আসলে এরকম। যত দামি, মুল্যবান জিনিসগুলো হারিয়ে যায় অতল গহ্বরে, আর যত ফালতু তুচ্ছ জিনিস ভেসে ভেসে ফেরত আসে জোয়ারের সাথে।


৮০-

মুখের সামনে ব্রিফকেস

মাতাল হয়ে অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছে এক ব্যক্তি। চুপি চুপি বেডরুমে ঢুকে দেখে স্ত্রী বাথরুমে গেছে। সে যে মদ খেয়ে এসেছে এটা যাতে স্ত্রী বুঝতে না পারে সেজন্য জলদি বিছানায় উঠে একটা মোটা বই খুলে পড়ার ভান করতে লাগল। একটু পর স্ত্রী বাথরুম থেকে বের হয়েই চিৎকার -চেঁচামেচি শুরু করল-
: আবারো আজ মদ খেয়ে এসেছ তাই না ?
: মোটেই না একদম বাজে কথা।
বলি, তাহলে মুখের সামনে অমন করে ব্রিফকেসটা খুলে ধরে রেখেছ কেন?


৮১-

যখন জায়গা হত না

৪০তম বিবাহবার্ষিকীতে এক মহিলার হঠাৎ মনে পড়ল বিয়ের প্রথম রাতে তার স্বামী তাকে বলেছিল সে যা খুশি করতে পারে কিন্তু শুধু যেন বিছানার নিচে রাখা কাঠের ছোট বাক্সটা না খোলে । এতদিন ধরে স্ত্রী কখনো সেটা ছুঁয়েও দেখে নি। কিন্তু ৪০ বছর এই ব্যাপারে সৎ থাকার কারণে তার কাছে মনে হল এখন নিশ্চয় সেটা খোলার অধিকার তার হয়ে আছে। ধীরে ধীরে ছোট বাক্সটি বের করে সে সেটা খুলে দেখল তার ভেতরে স্বামীর জমানো খুচরা টাকায় মোট তিন শ ডলার আর চারটা খালি বিয়ারের বোতল।
রাতে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ডিনার শেষ করার পর সে তাকে জানাল বাক্স খোলার ব্যাপারটা।
‘সর্বনাশ! তুমি এটা কী করেছ?’ স্বামী কিছুটা উত্তেজিত।
‘আহা এটাতে রেগে যাবার কী আছে?’ কিন্তু চারটা খালি বোতলের অর্থ কী? স্ত্রী কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করল। ‘ইয়ে.. মানে… আসলে বিয়ের পর আমি যতবার তোমার সাথে প্রতারণ করেছি…. মানে অন্য কোনো মেয়ের সাথে শুয়েছি ততবার আমি বাড়িতে এসে ওই বাক্সে একটা করে বোতল রাখতাম’। স্বামী-ভয়ে ভয়ে জানাল। চল্লিশ বছরে মাত্র চারবার এমনটি ঘটেছে ভেবে স্ত্রী তার স্বামীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল- ‘থাক এ নিয়ে আর মন খারাপ কোরোনা…’।
রাতের চমৎকার ডিনার শেষে দুজনই ঘুমাতে গেল। হঠাৎ মধ্যরাতের দিকে একটা কথা ভেবে স্ত্রীর ঘুম ছুটে গেল। সে তখনই তার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে জিজ্ঞেসা করল- আচ্ছা, ওই বাক্সের টাকাগুলো কিসের?
ঘুম ঘুম চোখে স্বামী কোনোমতে পাশ ফিরে জানাল- ও কিছু না যখন বাক্সের ভেতর আর বোতল জায়গা হত না তখন সব বোতল ফেলে এক ডলার করে রাখতাম।


৮২-অন্ধ না হলে
ঘরে ঢুকতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর গায়ে ধাক্কা লাগল-
স্ত্রী : উফ অন্ধ নাকি তুমি, দেখতে পাও না ?
স্বামী : অন্ধ না হলে কি আর তোমাকে বিয়ে করি।


৮৩-গাড়ির ভেতর স্ত্রী
এক ব্যক্তি হাঁপাতে হাঁপাতে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে বলল-“অফিসার জলদি আসুন, আমি ভুল করে চাবি ভেতরে রেখে গাড়ির দরজা লক করে ফেলেছি।’
অফিসার আশ্চর্য হয়ে বলল-‘আরে এতে এত উত্তেজিত হবার কী আছে?
‘কথা পরে বলুন আগে জলদি চলুন … এক ঘন্টা ধরে ওই গাড়ির ভেতর আমার স্ত্রী ও দুই বাচ্চা আটকে আছে …।


৮৪-

গাড়ির কী অবস্থা

: বাড়ি ফিরেই এক লোক দেখতে পেল তার স্ত্রীর হাতে, মাথায় ব্যান্ডেজ। সে ছুটে তার কাছে গিয়ে কী হয়েছে জানতে চাইল। ‘গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছি …সকালে ঘরের কিছু কেনাকাটা করতে বেরুচ্ছিলাম …’
স্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে বলল- ‘এত বিস্তারিত বলার প্রয়েজন নেই, এখন কী অবস্থা বল।’
স্বামীকে তার ব্যাপারে এত চিন্তিত হতে দেখে খুশি হয়ে স্ত্রী বলল- ‘আরে এত দুশ্চিন্তার কিছু নেই, মাথায় দুটো সেলাই পড়েছে আর কবজি সামান্য একটু মচকে গেছে। অবশ্য ডাক্তার বলেছে …’।
এবার স্বামী আগের চেয়েও জোরে চিৎকার করে উঠল, ‘আরে তোমার কথা কে জিজ্ঞেস করল? গাড়ির কী অবস্থা সেটা বল ।’

৮৫-পরিচয় হয়েছে বিয়ের পর
স্ত্রী : বিয়ের আগে কি তোমার কোনো বান্ধবী ছিল?
স্বামী : না, তুমিই প্রথম।
স্ত্রী : কাল যে মেয়েটির সঙ্গে খুব হেসে কথা বলছিলে ওই মেয়েটি তা হলে কে ?
স্বামী : ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে বিয়ের পর।


৮৬-

সাবধান

পার্কে বসে আছেন স্বামী-স্ত্রী। গাছের আড়াল থেকে ভেসে এল প্রেমিক-প্রেমিকার কন্ঠস্বর। প্রথমে মৃদু, তারপর জোরে-গাঢ়, আবেগময় আলাপ। স্বামীকে স্ত্রী বললেন, দ্যাখ, ওরা যেভাবে আলাপ করছে, মনে হয় কিছুক্ষণের মধ্যে ছেলেটা বিয়ের প্রস্তাব করে বসবে। তুমি একটু কেশে সাবধান করে দাও ।
: আমার বয়ে গেছে । খিঁচিয়ে উঠলেন স্বামী, তোমার কাছে যখন প্রস্তাব করেছিলাম, তখন আমাকে কেশে কি কেউ সাবধান করেছিল ?

৮৭-কাকতালীয় ব্যাপার
এক সন্তানসম্ভবা স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, “শুনছ, আজকেই হবে ?’
স্বামী : কী হবে?
স্ত্রী : আমি মা আর তুমি বাবা হবে।
স্বামী : দুজন একসাথেই। কী কাকতালীয় ব্যাপার।


৮৮-টিকিট দুটো ফেলে এসেছি
স্বামী : তুমি এই বড় সুটকেস ভর্তি করে কাপড় না এনে বড় আলমারিটাই তো সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারতে।
স্ত্রী : ঠাট্রা করছ? ভারি তো কটা কাপড় সঙ্গে নিয়েছি তাতেই।
স্বামী : না, আসলে ট্রেনের টিকিট দুটো আলমারিতে ফেলে এসেছি।


৮৯-বাথরুম থেকে দাঁতটা নিয়ে আসি
পঁচাত্তর বছর বিবাহবার্ষিকী পালনের সময়।
স্ত্রী : তোমার মনে আছে বিয়ের প্রথম দিনে তুমি কী করেছিলে ?
স্বামী : গাল কামড়ে দিয়েছেলাম তোমার।
স্ত্রী : সেদিন কী আর ফিরে পাব ?
স্বামী : দাঁড়াও বাথরুম থেকে দাঁতটা নিয়ে আসি ।



৯০-মহিলাটি কে
তোমাকে সেদিন থ্যাবড়ামুখী, হাতির মতো মোটা একজন মুহিলার সঙ্গে যেতে দেখলাম, মহিলাটি কে ?
: যদি তুমি আমার স্ত্রীকে ব্যাপারটা না বল তাহলে বলতে পারি।
: বেশ বলব না।
: গত বছর ঐ মহিরাকেই আমি বিয়ে করেছি।




৯১-জানবার কথা
বইমেলায় বই বিক্রেতা একজন ক্রেতাকে একসেট ‘জানবার কথা’ বিক্রি করার খুব চেষ্টা করে যাচ্ছে-
বিক্রেতা : দেখুন, বই একটা সম্পদ হয়ে থাকবে আপনার ঘরে। এতে ধর্ম, রাজনীতি, সাহিত্য, জিরাফ, কোলাব্যাঙ, অর্থনীতি-সব আছে, এভরিথিং। দাম মাত্র হাজার টাকা।
ক্রেতা : ধন্যবাদ ! কিন্তু এটা আমার কোনো প্রয়োজন নেই, ঘরে আমার স্ত্রী আছেন।



৯২-হতভাগা
স্ত্রীকে তুষ্ট করার জন্য রাস্তায় বেরিয়ে স্বামী বললেন, দ্যাখো দ্যাখো গিন্নি, রাস্তায় লোকজন তোমার দিকে কী রকম ঘুরে ঘুরে দেখছে ?
: আমার দিকে নয়, ওরা তোমার দিকেই তাকাচ্ছে।
: কেন কেন?
: যে তার বউকে গাড়ি চড়াতে পারে না, সে হতভাগাকে না দেখে কেউ থাকতে পারে!


৯৩-বাবা-মাই থাকে তাদের বাবা-মার বাসায়
নিমাকে কোর্ট ম্যারেজ করায় রাজুকে তার বাবা ত্যাজ্যপুত্র করেছেন। দম্পতি এখন রাস্তায়। কোথায় ওঠা যায় তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দুজন। তাদের বন্ধু বলল ‘নিমার বাপের বাড়িতে উঠে যা আপাতত্’।
“সেটা সম্ভব না।”
“কেন্?”
“কারণ নিমার বাবা-মাই থাকে তাদের বাবা-মার বাসায়।”


৯৪-

ভুলটা আমার

জন্মদিনের এক পার্টিতে এক ভদ্রলোক বিস্মিত হয়ে পাশের লোকটিকে বললেন, আশ্চর্য ব্যাপার ঐ যে লাল শাড়ি পরা সুন্দরী মহিলা, তিনি এতক্ষণ আমার সঙ্গে কী আন্তরিকভাবে আলাপে-ঠাট্টায় মশগুল ছিলেন। হঠাৎ করে গম্ভীর হয়ে চলে গেলেন। বুঝতে পারছি না, মুহুর্তের মধ্যে কী ভুল আমি করলাম।
: ভুল আপনি করেন নি, ভুলটা আমার। মানে আমি ওর স্বামী। এইমাত্র এসেছি।


৯৫-

অন্য পুরুষের সঙ্গে

এক ভদ্রলোক সিনেমা হলের ম্যানেজারকে বলল ‘দেখুন আমার স্ত্রী ভিতরে অন্য পুরুষের সঙ্গে ছবি দেখছে। দয়া করে ওকে হল থেকে বের করে দিন ।’
ম্যানেজার হলে গিয়ে চিৎকার করে বলল, “কোনো একজন মহিলা অন্য পুরুষের সঙ্গে ছবি দেখছেন, তার স্বামী বাইরে অপেক্ষা করছেন, দয়া করে বাইরে আসুন।’’ মুহুর্তে সমস্ত হল খালি হয়ে গেল।


৯৬-হেঁটে স্বর্গে ঢোকা নিষেধ
স্ত্রী : কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম- দেখি আমি স্বর্গে গেছি, স্বর্গের দারোয়ান আমাকে থামাল। বলল হেঁটে ঢোকা নিষেধ, একটা কিছুতে চড়ে আসতে হবে। স্বর্গের দারোয়ান বলে গাধায় চড়ে স্বর্গে ঢোকা নিষেধ, কমপক্ষে ঘোড়া …।



৯৭-জীবনবীমা
স্ত্রী : আমি যে প্রতিদিন তোমাকে এত মজার মজার জিনিস রান্না করে খাওয়াই তুমি তো বিনিময়ে কিছুই দাও না …
স্বামী : দিতে হবে না এমনিই পেয়ে যাবে।
স্ত্রী : কী পাব ?
স্বামী : আমার জীবনবীমার পাঁচ লাখ টাকা।




৯৮-

হিক্কা ওঠা বন্ধ

এক লোক অনেক রাতে ফার্মিসিতে গিয়ে দোকানির কাছে জানতে চাইল প্রচন্ড হিক্কার জন্য কিছু আছে কি না। দোকানি ভাবল হঠাৎ চমকে দিতে পারলে তার হিক্কা ওঠা বন্ধ হবে। সে এগিয়ে গিয়ে ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে দিল লোকটির গালে। লোকটি অবাক হয়ে জানতে চাইল এটা কেন করলে ?
দেখ, তোমার আর হিক্কা উঠছে না!- দোকানি হেসে জানাল।
‘তা উঠছে না, কিন্তু গাড়িতে বসা আমার স্ত্রীর তো এখনো উঠছে।



৯৯-

আমারও ভালো লাগে না

প্রচন্ড অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে স্বামী। মহিলাকে কিছুক্ষণ পরীক্ষা করে ডাক্তার স্বামীকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলল- দুঃখিত, তোমার স্ত্রীকে দেখে আমার কিন্তু মোটেই ভালো বোধ হচ্ছে না।
স্বামী সাথে সাথে জবাব দিল- ‘আমারও ভালো লাগে না, কিন্তু কী করব বলুন?
সে রাঁধে ভালো, ঘরদোরের কাজও ভালো জানে, তাছাড়া বাচ্চারাও তাকে খুব ভালবাসে … ।


১০০-পরীক্ষা হয়ে যাক
স্ত্রী : ওগো আমি মারা গেলে তুমি কাঁদবে না ?
স্বামী : অবশ্যই।
স্ত্রী : আমার বিশ্বাস হয় না।
স্বামী : বেশ পরীক্ষা হয়ে যাক।

বাংলা কৌতুক 'প্রেমিক-প্রেমিকা'

প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন—
প্রেমিক: আমি মনে হয় তোমাকে বিয়েটা করতে পারব না।
প্রেমিকা: এত দিন পর এ কথা বলছ কেন? কেন, কী হয়েছে বলো তো শুনি?
প্রেমিক: না, তেমন কিছু না। আমার বাসা থেকে নিষেধ আছে।
প্রেমিকা: তা তোমার বাসায় কে কে আছেন?
প্রেমিক: বেশি না। আমার এক স্ত্রী আর তিন সন্তান।



২-গবেটের সঙ্গে জীবন কাটাবে
মেয়ের প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বাবা বললেন, আমার মেয়ে একটা গবেটের সঙ্গে তার জীবনটা কাটাবে এ আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না।
প্রেমিক বলল, সে জন্যই তো ওকে আপনার বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি আমার বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।


৩-কাফনের খরচ
: বাবাকে বল নি, আমাকে না পেলে তুমি বাঁচবে না।
: বলেছিলাম।
: কী বলেছেন বাবা?
: বলেছেন- ‘চিন্তা করো না, কাফনের খরচ দিয়ে দেব’।


৪-আলাদা বিল
প্রেমিক – প্রেমিকা হোটেলে বসে খাচ্ছে। প্রচুর খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
প্রেমিক : তা হলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে না বলে ঠিক করেছ?
প্রেমিকা : হ্যাঁ, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।
প্রেমিক : এই বেয়ারা, আমাদের দু’জনের দুটো আলাদা বিল নিয়ে এস।


৫-

নারী বনাম পুরুষ

হাতের লেখা
পুরুষ : লেখা কোনো রকমে পড়া গেলেই হলো। কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং কী হচ্ছে তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না।
নারী : লেখা হতে হবে মুক্তোর মতো ঝরঝরে।
কেনাকাটা
নারী : প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট বানিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলো কিনে আনে।
পুরুষ : যতক্ষণ না বাড়ির চাল-ডাল সব শেষ বলে বউ চেঁচাতে শুরু করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যেতে চায় না। বাজারে গিয়ে যা পছন্দ হয় তা-ই কিনতে চায়। কখনো কখনো দাম দিতে গিয়ে দেখে, সে মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছে।
মিতব্যয়িতা
নারী : এক টাকা দামের জিনিসের জন্য কখনোই দুই টাকা খরচ করবে না। তা সে যত পছন্দসই হোক না কেন।
পুরুষ : যা পছন্দ হবে তা কিনতেই হবে। জিতে কিংবা ঠকে যেভাবেই হোক।
তর্ক
নারী : তর্কাতর্কির শেষ কথাটি হবে নারীর।
পুরুষ : নারীর পর পুরুষের কথা বলা মানে নতুন তর্কের শুরু।
প্রেম
পুরুষ: প্রতিটি পুরুষই চায় কোনো নারীর প্রথম প্রেম হতে।
নারী: নারীরা চায় তারা তাদের ভালোবাসার পুরুষটির শেষ প্রেম হোক।
ব্রেকআপ
নারী : সম্পর্ক ভেঙে গেলে কাছের কোনো বান্ধবীকে জড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকে। কিংবা ‘পুরুষ বড় নির্বোধ’ জাতীয় কবিতা লেখা শুরু করে এবং নতুনভাবে জীবনটা শুরু করার চেষ্টা করে।
পুরুষ : ব্রেকআপ হওয়ার ছয় মাস পরও সাবেক প্রেমিকাকে রাতবিরেতে ফোন করে ‘ডাইনি, তুই আমার জীবনটা শেষ করে দিলি’—এ জাতীয় ডায়ালগ ঝাড়তে থাকে।
বিয়ে
নারী : মনে করে বিয়ের পর হাজব্যান্ড বদলে যাবে, কিন্তু তা হয় না।
পুরুষ : মনে করে প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার পরও একই রকম থাকবে। কিন্তু স্ত্রী বদলে যায়।
স্মৃতি
নারী : যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারা জীবন মনে রাখে।
পুরুষ : সেসব নারীকে মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি।
বাথরুম
পুুরুষ : সাধারণত ছয়টি জিনিস থাকে। সাবান, সেভিং ক্রিম, রেজর, টুথব্রাশ, আর তোয়ালে (ক্ষেত্রবিশেষে কোনো হোটেল থেকে চুরি করা)।
নারী : সাবান, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট তো আছেই সেই সঙ্গে শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপস্টিক….আরও কত কী! বেশির ভাগ জিনিস পুরুষেরা চিনবেই না।
জুতো
নারী : গরমের দিনে অফিস ডেস্কের নিচে পা ঢুকিয়ে জুতো খুলে রাখে।
পুরুষ : সারা দিন এক জুতা-মোজাই পায়ে দিয়ে রাখে।
পশু-পাখি
নারী : পশু-পাখি ভালোবাসে।
পুরুষ : পশু-পাখিকে কষ্ট দিতে ভালোবাসে।
সন্তান
নারী : নারীরা তাদের সন্তানদের পুরোপুরি চেনে। তাদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, বন্ধু, গোপন ভয় এমনকি গোপন প্রেম সম্পর্কেও তারা জানে।
পুরুষ : নিজের বাড়িতে মোট কয়জন মানুষ আছে তা-ও সব সময় মনে রাখতে পারে না।
অলংকার
নারী : যেকোনো ধরনের অলংকার পরলেই নারীদের সুন্দর দেখায়।
পুরুষ : বড়জোর একটা আংটি কিংবা ব্রেসলেট। এর চেয়ে বেশি কিছু পরলেই লোকে মন্দ বলতে শুরু করে।
বন্ধু
নারী : বান্ধবীরা মিলে আড্ডা দিতে গেলে নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপেই ব্যস্ত থাকে।
পুরুষ : পুরুষদের আড্ডায় ‘দোস্ত তোর লাইটারটা দে তো’ জাতীয় কথাবার্তাই বেশি শোনা যায়।
বাইরে খাওয়া
নারী : ভাগাভাগি করে বিল দেয়।
পুরুষ : সবাই চায় অন্যের ওপর বিল চাপিয়ে দিতে। কারও কাছেই ভাংতি থাকে না।
কাপড় ধোয়া
নারী : প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কাপড় কাচে।
পুরুষ : চিমটি কাটলে ময়লা বের না হওয়া পর্যন্ত কাপড়ে সাবান ছোঁয়ায় না।



৬-জুতা নিয়েই এসো
ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে—
ছেলে: ওগো, তুমি আমার হূদয়ের মাঝে চলে এসো।
মেয়ে: জুতা খুলে আসব?
ছেলে: আরে বুদ্ধু, এটা তোমার মায়ের পরিষ্কার করা ঘর নয়। জুতা নিয়েই এসো।

৭-ডিম পেড়ে দেখাও
মোরগ: এই শোনো!
মুরগি: আমাকে বলছেন?
মোরগ: হ্যাঁ, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি।
মুরগি: সত্যি! তুমি আমার জন্য সবকিছু করতে পার? তাহলে কষ্ট করে একটা ডিম পেড়ে দেখাও না!


৮-খরচটা সার্থক
প্রেমিক : জান, এই যে অন্ধকার ট্যানেলটা আমরা এইমাত্র পার হয়ে এলাম, এটা দুই মাইল লম্বা আর এটা তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় দশ কোটি টাকা।
প্রেমিকা ( অবিন্যস্ত পোশাক ঠিক করেত করতে)


৯-

তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স

রেস্টুরেন্টে প্রেমিক-প্রেমিকা
প্রেমিক : কী খাবে?
প্রেমিকা : আমার জন্য এক কাপ চা হলেই চলবে তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স।
প্রেমিক : মানে?
প্রেমিকা : মানে ঐ দেখ আমার স্বামী ঢুকছেন-
কিন্তু দেখা গেল স্বামীর পিছন পিছন ঢুকছে আরেক তরুনী। এবার প্রেমিকা (মানে ঐ স্বামীর প্রকৃত স্ত্রী) মূর্ছা গেলেন। প্রেমিকের জন্য আনা এ্যাম্বুলেন্সে করে প্রেমিকাকে নিয়ে ছুটতে হল হসপিটালে।


১০-

খুব খুশি হলাম তোমায় দেখে

ভিজিটিং আওয়ার শেষ হয়েছে অনেক আগেই। তখন হন্তদন্ত হয়ে এক তুখোড় তরুণী তার অল্প পরিচিত প্রেমিক ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে এল। ঢুকেই সে সুপারিনটেনডেন্টকে বলল, ‘ম্যাডাম, আমি কি ডাক্তার উইলিয়ামসের সঙ্গে দেখা করতে পারি?’
সুপারিনটেনডেন্ট বললেন, ‘আপনি কে সেটা কি জানতে পারি?’
মৃদু হেসে তরুণী বলল, ‘নিশ্চয়ই, আমি তার বোন।’
সুপারিনটেনডেন্ট একটু তাকিয়ে থেকে বলল, ‘আচ্ছা আচ্ছা, খুব খুশি হলাম তোমায় দেখে। আমি ডা. উইলিয়ামসের মা।’


১১-ইনস্টলমেন্ট
ছ্যাঁকা খাওয়া এক প্রেমিককে সান্ত্বনা দিয়ে বন্ধু বলল, ‘আরে দূর, মলি কোনো মেয়ে হলো? ওর মতো মেয়েকে ভুলতে কয় দিন লাগে? তুই আবার মনের মতো কাউকে পেয়ে যাবি।’
হতাশ প্রেমিক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘ভোলার উপায় নাই রে, গত মাসে আমি ওকে ইনস্টলমেন্টে অনেক কিছু কিনে দিয়েছি।’


১২-সে এখন আমার চাচি
: জেলীর সঙ্গে তোমার বাগদান কি ভেঙে গেছে ?
: হ্যাঁ
: কেন ?
: ও আর আমাকে বিয়ে করতে চায় নি। আমার টাকাপয়সা তো তেমন নেই।
: কেন তুমি তোমার ধনী চাচার কথা তাকে বল নি ?
: বলেছি । তাই সে এখন আমার চাচি হয়েছে।


১৩-

পুরোনো প্রেমিকার চিঠি

বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-
প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।


১৪-

যোগব্যায়ামের ফল

বাবুর বান্ধবীর হাতের নখ কামড়ানোর নোংরা একটা অভ্যেস ছিল। ওই বদ অভ্যেসটা কাটানোর জন্য বাবু বান্ধবীকে যোগব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি করে দেয়। কয়েক দিন পর বাবু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেল। দেখল, ওর হাতের নখগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। তখন বাবু বেশ হাসিমুখে বলল, ‘দেখলে তো, যোগব্যায়ামে ভর্তি করে তোমার নখ খাওয়া কেমন বন্ধ করলাম।’ বাবুর প্রেমিকা বলল, ‘না, সোনা, আমি নখ খাওয়া ছাড়িনি। যোগব্যায়াম করে আমি এখন পায়ের নখও মুখে আনতে পারি।’



১৫-বিয়ে করতে রাজি
ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?



১৬-ইংরেজি জানি না
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন?
বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।


১৭-পৃথিবীতে কত সুন্দরী
হাবলুঃ তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে আমি নির্ঘাত আত্মহত্যা করব।
বান্ধবীঃ ছি, আত্মহত্যা করবে কেন? পৃথিবীতে কত সুন্দরী মেয়ে আছে।
হাবলুঃ বাপ রে, তুমিই বিয়ে করতে চাইছ না, আবার সুন্দরী মেয়ে!



১৮-অষ্টম আশ্চর্য
প্রেমিক তার প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তুমি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। শুনে প্রেমিকা বলল, তাই নাকি! তাহলে আগের সাতজন কে কে শুনি।


১৯-

সে তো আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি

প্রেমিকঃ তুমি আমার জীবনে বাঁচার রসদ, আমার প্রেরণা, আমার সবকিছু।
প্রেমিকাঃ তুমিও আমার প্রাণ গো।
প্রেমিকঃ আমি খুব একটা বড়লোক নই। রোহিতের মতো আমার বড় বাড়ি, বড় গাড়ি কিছুই নেই। কিন্তু একটা কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমার মতো তোমায় কেউ ভালোবাসবে না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
প্রেমিকাঃ সে তো আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি, কিন্তু রোহিত সম্বন্ধে আরও কিছু কথা বলো তো শুনি।


২০-প্রকৃত ভালোবাসা
দুই প্রেমিক-প্রেমিকা ঠিক করেছে আত্মহত্যা করবে। উঁচু পাহাড় থেকে প্রথমে ছেলেটি ঝাঁপ দিল, কিন্তু মেয়েটি দিল না। সে চোখ বন্ধ করে বলল, ভালোবাসা অন্ধ।
এদিকে ঝাঁপ দেওয়ার পর ছেলেটি প্যারাসুট খুলে বলল, প্রকৃত ভালোবাসা কখনো মরে না!


২১-

আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি

গুল্লু আর গাবলু একদিন একটা রেস্তোরাঁয় গেছে। সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পর গাবলু বলল, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, গুল্লু!
গুল্লু উত্তর দিল, কিন্তু আমি তো তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, ভালো করে ভেবে দেখেছ তো?
গুল্লু বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, বললাম তো আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, আচ্ছা, ঠিক আছে। ওয়েটার, দুটো আলাদা বিল নিয়ে এসো তো।
গুল্লু সঙ্গে সঙ্গে বলল, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি।


২২-

নৌকাডুবি

-সত্যিই তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও না?-ছেলেটি বলল মেয়েটিকে।
-না, চাই না। আমি এমন কোনো পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করব, যে সত্যিই কর্মঠ ও বুদ্ধিমান।
-তোমার কি মনে নেই, নৌকাডুবির পর কীভাবে তোমাকে আমি উদ্ধার করেছিলাম!
-হ্যাঁ, এতে প্রমাণিত হয়, তুমি কর্মঠ। কিন্তু বুদ্ধিমান নও।
-তুমি কি জানো, নৌকাটা কে ডুবিয়েছিল?-রহস্যভরা চোখ নিয়ে বলল ছেলেটি।



২৩-এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে
বিয়ের দিনক্ষণ পাকা। এমন পর্যায়ে প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে কথা হচ্ছে —
প্রেমিকঃ এখন কাউকে কিছু বলব না, একেবারে বিয়ে করে সবাইকে চমকে দেব।
প্রেমিকাঃ আমি শুধু রহমানকে একবার বলব।
প্রেমিকঃ এত লোক থাকতে রহমান কেন?
প্রেমিকাঃ ও-ই আমাকে বলেছিল, পৃথিবীতে এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে।



২৪-আমি কোথায় ইনজেকশন নিয়েছিলাম
এক যুবক আর এক সুন্দরী তরুণী ট্যাক্সি করে বেড়াতে বেড়িয়েছে। মেয়েটি যুবকটিকে নিয়ে তামাশা করে মজা পায়।
হঠাত্‌ মেয়েটি বলল, দেখবে কাল আমি কোথায় ইনজেকশন নিয়েছিলাম?
ছেলেটি উৎসাহিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, হ্যাঁ হ্যাঁ দেখব। দেখাও।
মেয়েটি আঙুল তুলে বলল, ওই হাসপাতালটায়।


২৫-মোবাইল নম্বরটা বলো
মেয়েঃ আমি যদি তোমার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হই তাহলে তুমি কি আমাকে একটা রিং দেবে?
ছেলেঃ অবশ্যই, কেন নয়, তোমার মোবাইল নম্বরটা বলো।


২৬-আমি আবার চাঁদের দিকেই তাকাই
–আমি চাঁদের দিকে তাকাই, কী সুন্দর চাঁদ! আমি তোমার দিকে তাকাই···। তুমি··· তুমি··· নাহ্‌, থাক, আমি আবার চাঁদের দিকেই তাকাই।


২৭-বিয়ের পরে যেগুলো হবে
-যখন আমরা বিয়ে করব, তখন তোমার যত দুঃখ-কষ্ট, সব আমি তোমার সঙ্গে ভাগ করে নেব।
-আমার কোনো দুঃখ-কষ্ট নেই।
-আমি তো বিয়ের আগের কথা বলছি না। বলছি বিয়ের পরে যেগুলো হবে···


২৮-এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে
বহুদিন ধরে ছেলে আর মেয়েটি দেখা করছে। সম্পর্ক বেশ অন্তরঙ্গ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেই না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বলল, ‘তোমার কি মনে হয় না, আমাদের বিয়ে করার সময় হয়েছে?’
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছেলেটি বলল, ‘এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে, বলো?’


২৯-তিনটা টিকিট কেন
প্রেমিকঃ প্রিয়া, দারুন একটা মুভি এসেছে। হাউসফুল যাচ্ছে। তিনটা এডভান্স টিকিট কেটে এনেছি।
প্রেমিকাঃ তিনটা টিকিট কেন? আমরা তো মাত্র দুজন!
প্রেমিকাঃ টিকিট তো আমাদের জন্য আনিনি। এনেছি তোমার মা, বাবা আর ভাইয়ের জন্য। তারা সিনেমা দেখতে গেলেই আমি চলে আসব।


৩০-

কিছু না ঘটে তবে

লন্ডনের হাউজ পার্কে বসে এক তরুন-তরুনী ভবিষৎতের সুখ স্বপ্ন রচনার বিভোর প্রেয়সীর হাতে জোরে চাপ দিয়ে পরে বললো – আমি সব কিছু ভেবে রেখেছি । এমনকি তোমার জন্য একটা জীবন বীমা করে রেখেছি যাতে আমার কিছু ঘটলে তোমার কিছু অসুবিধা না হয়।
–সত্যিই করেছে? সুন্দর… কিন্তু যদি কিছু না ঘটে তবে আমার উপায় কি হবে ?

বাংলা কৌতুক 'প্রেম-ভালোবাসা

আমার স্বামী আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে!
: কী রকম?
: বিয়ের আগে সে বলেছিল, তার বয়স ৯০, স্বাস্থ্য খারাপ আর সে কোটিপতি।
: সে কি কোটিপতি নয়?
: অবশ্যই কোটিপতি কিন্তু বয়স ৬০ এবং স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো।

২-

পানি খেতে ইচ্ছে করছে না তো

বিবাহে প্রবল অনিচ্ছুক এক লোককে বলা হলো:
সারাটা জীবন একা একাই কাটাবে? ভেবে দ্যাখো, তুমি যখন মরণশয্যায়, তখন তোমার মুখে পানি দেওয়ার মতো কেউ থাকবে না।
কোনো প্রতিযুক্তি দেখাতে না পেরে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেল লোকটা।
অনেক বছর পরের কথা। দীর্ঘ সংসারজীবন যাপনের পর লোকটি বৃদ্ধ অবস্থায় শুয়ে আছে মৃত্যুর অপেক্ষায়। তাকে ঘিরে আছে তার স্ত্রী, পুত্র-কন্যা। শুয়ে শুয়ে সে ভাবছে:
কেন যে বিয়ে করেছিলাম! পানি খেতে ইচ্ছে করছে না তো!


৩-বিয়ের কঠিন সময়
একটি মেয়ের সবেমাত্র বাগদান হয়েছে।
তাঁর অফিসের এক বিবাহিত মহিলা এলেন তাঁকে উপদেশ দিতে।
শোনো, বিয়ের পর প্রথম ১০ বছরই সবচেয়ে কঠিন।
মহিলা বললেন, আপনার বিয়ে হয়েছে কত দিন?


৪-

বিয়ের আগে বাঘ

বনের ভেতর এক বাঘের বিয়ে। সেই খুশিতে বনের সব পশুই নাচ-গান শুরু করেছে। বনের এক কোণায় একটা গাধার নাচ দেখে এক বাঁদর তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আরে গাধা ভাই, তুমি অযথা নাচছো কেন?’
গাধা রেগে বলল, ‘এই বনে আজ আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে। আমি নাচবো না তো নাচবেটা কে, শুনি?’
বাঁদর আবারও প্রশ্ন করল, ‘বাঘ আবার কবে থেকে তোমার ভাই হলো?’
‘আরে বাঁদর, বিয়ের আগে আমিও বাঘ ছিলাম। বাঘের ক্ষেত্রেও তো একই ঘটনা ঘটবে। তাহলে সে তো আমার ভাই-ই হবে, নাকি?’—গাধার উত্তর।


৫-বিয়ের প্রস্তাব
বুনো পশ্চিম। এক মেয়ে বলছে তার মাকে, মা, ডার্টি বিলি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
—সে তোমাকে সরাসরি বলেছে এ কথা? মা প্রশ্ন করলেন।
—না, তা বলেনি, তবে ইঙ্গিত দিয়েছে। নিজের বউকে সে ইতিমধ্যে গুলি করে মেরে ফেলেছে।



৬-বিয়ে হয়ে গেছে
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: জানিস, আমার আর লিজার বিয়ে হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধু: তাই নাকি রে! আগে তো বলিসনি। এত দিন প্রেম করলি। তা কবে তোদের বিয়ে হলো?
প্রথম বন্ধু: আমার বিয়েটা হয়েছে এ মাসের ১৬ তারিখ। আর লিজার ২৫ তারিখ।


৭-ই-মেইলে বিয়ে
এক মার্কিন ও এক ভারতীয়র মধ্যে বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছে—
মার্কিন: জানো, আমাদের দেশে বিয়ে ই-মেইলে হয়।
ভারতীয়: বাহ্, খুব ভালো তো। কিন্তু আমাদের দেশে বিয়েটা শুধু ফিমেলের (নারী) সঙ্গেই হয়।



৮-

আপনার বোন মানে আমারও বোন

বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে হাবলু যখন তার নতুন বউ নিয়ে বাসায় ফিরছিল, তখন বউয়ের বড় ভাই কাঁদতে কাঁদতে হাবলুকে বললেন, ‘ভাই, আমার বোনটার দিকে একটু খেয়াল রেখো।’
বউয়ের বড় ভাইয়ের কান্না দেখে হাবলুও কেঁদে কেঁদে বলল, ‘ভাই, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আপনি তো আমার বড় ভাইয়ের মতো। আপনার বোন মানে আমারও বোন। ও খুব ভালোই থাকবে।’


৯-

বর কেন কালো পোশাক পরেছে

একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মায়ের সঙ্গে বিয়ে দেখতে গেছে বিল্টু। বিয়ে দেখতে দেখতে বউয়ের দিকে তাকিয়ে বিল্টু তার মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা মা, বউ সাদা পোশাক পরে বসে আছে কেন?’
মা বিল্টুকে বললেন, ‘সাদা পোশাক হচ্ছে সুখের প্রতীক, আর আজ বউয়ের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন, তাই সে সাদা পোশাক পরেছে।’
একটু ভেবে বিল্টু আবারও তার মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘হুমম বুঝলাম। কিন্তু বর কেন কালো পোশাক পরেছে?’


১০-ঘটা করে বিয়ে আর প্রেম করে বিয়ের মধ্যে পার্থক্য
দুই বন্ধু রঞ্জু আর সঞ্জুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রঞ্জু: বল তো, ঘটা করে বিয়ে আর প্রেম করে বিয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
সঞ্জু: এটা তো খুবই সোজা।
রঞ্জু: আহা বল না।
সঞ্জু: শোন, পার্থক্যটা খুবই সাধারণ। প্রেম করে বিয়ে করলে নিজের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হয়, আর ঘটা করে বিয়েতে অন্যের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হয়।


১১-

স্ত্রী হারিয়ে গেছে

বাজার করার মাঝখানে স্ত্রী রাগ করে চলে গেছে। কিছুতেই তাকে আর খুঁজে পাচ্ছে না তপু। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে তপু এক মহিলার হাত ধরে অনুনয়-বিনয় করে বলল, ‘দয়া করে কিছুক্ষণের জন্য আমার সঙ্গে একটু কথা বলবেন?’
মহিলাটি রেগে বললেন, ‘চিনি না, জানি না, আপনার সঙ্গে কথা বলব কেন?’
তপু ভদ্রভাবে মহিলাকে বলল, ‘বাজারের মধ্যে আমার স্ত্রী হারিয়ে গেছে তো!’
মহিলা এবার রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, ‘আপনি তো আচ্ছা মানুষ দেখছি। আপনার স্ত্রী হারিয়েছে, তাতে আমার সঙ্গে কথা বলার কী সম্পর্ক?’
‘না মানে, অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখলেই আমার স্ত্রী রেগে আবারও আমার কাছে ফিরে আসবে কি না!’




১২-সাহস
: বিশ্বাস করবে না হয়তে। কিন্তু সত্যি বলছি কাজী সাহেব যখন বিয়ের কলেমা পড়াচ্ছিলেন তখনই সাবের মজলিশ থেকে ছুটে পালিয়ে গেল।
: কেন, শেষ মুহুর্তে সাহস হারিয়ে ফেলেছিল বুঝি?
: না, সাহস ফিরে পেয়েছিল।


১৩-

দাম্পত্য জীবনে সুখী

এক ভদ্রলোককে তাঁর এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, দাম্পত্য জীবনে তুমি কি সুখী?
এ কথা শুনেই ওই ভদ্রলোক নিজেকে সুখী দম্পতি হিসেবে দাবি করে বলেছিলেন, ‘আমরা সপ্তাহে দুই দিন নিয়ম করেই রেস্তোরাঁয় যাই। সেখানে রাতের খাবারের পর গান শুনে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় ফিরি। বল এটা কি সুখী দম্পতির বৈশিষ্ট্য নয়?’
বন্ধুটি কৌতুহল নিয়ে বললেন, ‘তা তোমরা কবে কবে রেস্তোরাঁয় যাও?’
‘আমি রেস্তোরাঁয় যাই বুধবার আর আমার স্ত্রী যায় শুক্রবার’—ভদ্রলোকের জবাব।


১৪-

টেলিভিশনকে বিয়ে

কফির দোকানে এক তরুণী বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডায় বসেছেন। সবাই বিয়ে নিয়ে কথা বলছেন।
ওই তরুণী বললেন, ‘আমি যে পুরুষকে বিয়ে করব, তাকে অবশ্যই একটি বড় প্রতিষ্ঠানের কেউ হতে হবে। তাকে গান জানতে হবে, মজার মজার গল্প জানতে হবে এবং অবশ্যই রাতে বাসায় থাকতে হবে।’
এ কথা শুনেই পাশ থেকে এক বান্ধবী ফোড়ন কাটলেন, ‘তুমি একটা টেলিভিশনকেই বিয়ে করে ফেল না কেন!’


১৫-

নির্বোধ প্রাণী

জনৈক পশুপ্রেমিক একদিন পথ রোধ করে দাঁড়াল খুব দামি ফার কোট পরিহিত এক মহিলার। সে চিৎকার করে বলতে লাগল-তোমার লজ্জা হয় না এই ফার কোট পরতে? তুমি জান না তোমার গায়ে এই কোটটা চাপানোর জন্য একটা নির্বোধ প্রাণীকে কত কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে?
‘আর আমি? আমার দিকটা কেউ ভাবে না ! আমাকে যে এটা বাগানোর জন্য ওই নির্বোধটার সঙ্গে দুই মাস একনাগাড়ে ডেট করতে হয়েছে …’ মহিলাটিও চিৎকার করে আত্মপক্ষ সমর্থন করল।


১৬-

বিয়ের চিন্তা ত্যাগ

: শোন, আমাকে বিয়ে করতে হলে তোমাকে কিছু জিনিস ত্যাগ করতে হবে ।
: যেমন ?
: এই ধর রোজ সন্ধ্যার পর ক্লাবে যাওয়া বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অহেতুক আড্ডা, সিগারেট খাওয়া, রাতে নাক ডাকা, বোকার মতো টাকা খরচ করা, খামাখা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া …কী পারবে এসব ত্যাগ করতে?
: দেখি ভেবে দেখতে হবে।
পরদিন আবার দু’জনের দেখা।
: কী ভেবেছ ?
: আসলে একবারে তো আর সব কিছু ত্যাগ করা যায় না … একটু একটু করে আর কি। যেমন প্রথমত একটা জিনিস ত্যাগ করেছি।
: কী ?
: ইয়ে মানে…আপাতত বিয়ের চিন্তাটা।

১৭-দিনগুলো ছিল বড় সুখের
দুই বন্ধু গল্প করছে।
: বিয়ের পরের দিনগুলো ছিল বড় সুখের।
: কী রকম?
: অফিস থেকে বাড়ি ফিরতেই আমার ছোট কুকুরটা চেঁচামেচি জুড়ে দিত আর তার পেছন-পেছন হাসিমুখে আসত আমার স্ত্রী। তার হাতে থাকত আমার চটি-জুতা।
: আর আজকাল?
: আজকাল বাড়ি ফিরলে চটি-জুতো মুখে করে আনে কুকুরটা আর পেছনে চেঁচাতে-চেঁচাতে আসে আমার স্ত্রী।


১৮-বিয়ে ও ডিভোর্সের কারণ
আসাদঃ আমি বিয়ে করলাম কেন, জানিস?
সাগরঃ কেন রে?
আসাদঃ আরে! রান্নাবান্না, জামাকাপড় কাচা, বাড়িঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা···উফ! এত কাজ আর একলা করতে পারছিলাম না, তাই বিয়ে করে নিলাম।
সাগরঃ দারুণ! তুই কি জানিস এই একই কারণে আমার ডিভোর্স হয়েছে?


১৯-কাকে বিয়ে করেছেন
দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ব্যক্তিঃ ভাই, আপনি বিয়ে করেছেন?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ।
১ম ব্যক্তিঃ কাকে?
২য় ব্যক্তিঃ একটা মেয়েকে।
১ম ব্যক্তিঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।


২০-বিয়েটা কেমন
১ম বন্ধুঃ বিয়েটা কেমন জানিস?
২য় বন্ধুঃ নাহ্‌, কেমন?
১ম বন্ধুঃ এটা হচ্ছে ধর, রেস্টুরেন্টে গিয়ে তুই অর্ডার দিবি একটা খাবার, ওটা তোর টেবিলেও আসবে। কিন্তু ওটা মুখে দিয়েই তোর নজর চলে যাবে পাশের টেবিলের ভদ্রলোকের প্লেটের দিকে। তোর শুধু মনে হতে থাকবে, ওটাই তোর অর্ডার দেওয়া উচিত ছিল।


২১-

ভালোবাসা বিষয়ক কয়েকটি কথোপকথন

: আমি কি এতই ভালো যে, প্রতিদিন তুমি প্রার্থনা করো, সবাই যেন আমার মতো একজন প্রেমিকা পায়···?
: অবশ্যই, কারণ একা আমিই কেন ভুক্তভোগী হতে যাব।
: আচ্ছা, তুমি কি এই ভ্যালেন্টাইনস ডেতে আমাকে এনগেজমেন্টের আগেই একটা রিং দেবে?
: অবশ্যই। তোমার ফোন নম্বরটা দাও, আমি প্রতিদিনই একটা করে রিং দেব।
: আমি স্বপ্ন দেখলাম, তুমি ভ্যালেন্টাইনস ডেতে আমাকে একটা হীরের নেকলেস দিচ্ছ। তুমি কি আমাকে কোনো গিফট দেবে?
: অবশ্যই। তোমাকে স্বপ্নের মানে জানার জন্য একটা ‘খাবনামা’ দেব।
: আচ্ছা, তুমি কি আমাকেই প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছ?
: অবশ্যই। আচ্ছা, বল তো তোমরা সব ছেলেই এই কথাটা বলো কেন?
: এই শোন, ভ্যালেন্টাইনস ডেতে কথা দাও, আজ থেকে তুমি আমার আত্মীয়দের ভালোবাসবে।
: অবশ্যই। দেখ, ইন ফ্যাক্ট আমি কিন্তু তোমার শাশুড়িকে আমার শাশুড়ির চেয়ে বেশি ভালোবাসি।
: প্রথমে এনগেজমেন্ট রিং, তারপর ওয়েডিং রিং, তারপর কী?
: তারপর অবশ্যই সাফারিং।
গুরু


২২-

ভালোবাসা, বিয়ে, অতঃপর···

– একজন সফল পুরুষ হচ্ছেন তিনি যিনি তাঁর স্ত্রী যতটা খরচ করতে পারেন তাঁর থেকে বেশি রোজগার করতে পারেন। আর একজন সফল নারী হচ্ছেন তিনি যিনি এমন একজন সফল পুরুষ খুঁজে বের করতে পারেন।
– যখন কোনো নববিবাহিত দম্পতি হাসে তখন সবাই বোঝে-কেন?
আর যখন ১০ বছরের পুরোনো দম্পতি হাসে তখন সবাই ভাবে-কেন?
– মেয়েদের সম্পর্কে বিবাহিতদের চেয়ে ব্যাচেলররাই বেশি জানে। যদি না-ই জানত তাহলে সে আর ব্যাচেলর থাকত না।
– একটি শান্তিপূর্ণ বিবাহিত জীবনের অন্যতম শর্ত হচ্ছে বারবার প্রেমে পড়া। কিন্তু অবশ্যই তা কেবল নিজের স্ত্রীর প্রেমে।
– এক ভদ্রলোক খুব গর্ব করে নিজের স্ত্রীর কথা বলছেন, ‘জানিস, যতই ঝগড়া হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত আমার স্ত্রী আমার কথাই মেনে নেয়।’ অন্য ভদ্রলোক বেশ বিমর্ষভাবে বললেন, ‘তুই তো তাহলে অনেক ভাগ্যবান। তা কেমন করে এমন অসাধ্য সাধন করিস?’ এবার প্রথম ভদ্রলোক বললেন, ‘ঝগড়ার শেষে আমি বলি, সব দোষ আমার। আর ও অকপটে আমার কথা মেনে নেয়।’
– ভালোবাসা অন্ধ। আর ‘বিয়ে’ ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে যাওয়া চোখ সহজেই খুলে দেয়। কাজেই অন্ধ চোখ খুলতে শিগগিরই বিয়ে করুন।
– বিয়ে হচ্ছে দুজন মানুষের মধ্যকার এমন এক সম্পর্ক যেখানে একজন সদা সর্বদা সঠিক আর অন্যজন হচ্ছে স্বামী।
– স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে, ‘তুমি বিয়ের আংটি ভুল আঙ্গুলে পরেছ কেন?’ জবাবে স্ত্রী বলল, ‘কারণ আমি ভুল মানুষকে বিয়ে করেছি।’
– যখন কোনো স্বামী তার স্ত্রীর জন্য গাড়ির দরজা খুলে দেয় তখন এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, হয় গাড়িটি নতুন না হয় স্ত্রী!
– বিয়ের আগে প্রেমিকা কী বলেছিল তাই ভাবতে ভাবতে সারা রাত নিঘুêম কেটে যেত।
আর বিয়ের পর স্ত্রী কী বলছে তা শেষ করার আগেই ঘুম চলে আসে।
– অবিবাহিতদের ট্যাক্স বেশি দেওয়া উচিত, কারণ তারা বিবাহিতদের চেয়ে উন্নততর জীবন যাপন করে।
– স্বামী-স্ত্রী দুজন একটি ইচ্ছাপূরণ নদীর সামনে এসে দাঁড়াল। প্রথমে স্ত্রী মনে মনে কিছু একটা চাইল। তারপর একটি পাঁচ টাকার কয়েন পানিতে ফেলে দিল। পরে তার স্বামী কয়েন ফেলতে গিয়ে পা পিছলে নিজেই পানিতে পড়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বলল, ‘ওয়াও! এখানে দেখি সত্যি সত্যি ইচ্ছা পূরণ হয়!!’
– মাতৃভাষা বলা হয় কিন্তু পিতৃভাষা কেন বলা হয় না জানেন? কারণ পিতা কদাচিৎই কথা বলার সুযোগ পায়।
– আপনি যতই চাকরি বদলান না কেন, শেষ দিন পর্যন্ত আপনাকে আসলে একই বসের অধীনে কাজ করতে হয়। বুঝতে পারছেন তো?
– স্বামী তার রাগান্বিত স্ত্রীকে বলছে, ‘আমাকে অপবাদ দিয়ো না! আমি তোমার আত্মীয়দের অবহেলা করি-এ কথা একদম ঠিক না। যেমন ধরো, তোমার শাশুড়ি, তাকে তো আমি আমার নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’
– লটারির প্রথম পুরস্কার জিতে স্ত্রী স্বামীকে বলল, ‘তোমার কাপড়চোপড় প্যাক করো।’ স্বামী খুশি খুশি মনে বলল, ‘কোথায় ঘুরতে যাবে, শীতের কাপড় বেশি নেব নাকি গরমের?’ স্ত্রী ধমক দিয়ে বলল, ‘সব কাপড় প্যাক করো, আমি কোথাও যাব না; তোমার সব কাপড়চোপড় নিয়ে তুমি ভাগো।’
– মহা ভুল করার পরও কখন মানুষ অভিনন্দন পায় জানেন? যখন সে বিয়ে করে।
– পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট বই কোনটি জানেন? সেই বইয়ের নাম হচ্ছে-ছেলেরা মেয়েদের যতটা চেনে।
– আপনি আপনার মনের কথা অকপটে বলতে পারবেন, আপনার স্ত্রী আপনার কথার মধ্যে কোনো প্রকারের ডিস্টার্ব করবে না-এমন সুযোগ চান? তাহলে উনি ঘুমালে আপনার যা বলার বলুন।
– বিয়ের আগে ছেলেরা পূর্ণতা পায় না, অসমাপ্ত থাকে, আর বিয়ের পর পুরোপুরি সমাপ্ত হয়ে যায়।


২৩-হাসার সুযোগ
মেয়ের বিয়ের জন্য ছেলে দেখছেন মা-বাবা।
মা : দেখ, ছেলেটির যত গুণই তুমি দেখ, ওর মাঢ়ীটা কিন্তু ভালোনা। হাসলে কালো মাঢ়ীটা বেরিয়ে কেমন বিশ্রী দেখায়।
বাবা : সে জন্য ভেব না। তোমার মেয়েকে বিয়ে করলে এই ছেলে হাসার কোন সুযোগই পাবে না জীবনে।


২৪-

ফ্যামিলি প্রবলেম

এক বাংলাদেশী আর এক আমেরিকান বারে বসে একটার পর একটা মাল খেয়ে যাচ্ছে আর গল্প করছে। বাংলাদেশী বলল, জানিস আমার বাবা-মা আমার জন্যে গ্রামের একটা মেয়েকে ঠিক করেছে। একে বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আমি কখনও তাকে দেখিনি। আমি এমন কাউকে বিয়ে করতে চাইনা যাকে আমি ভালবাসি না। আমি খোলাখুলি তাদের এসব বলে দিয়েছি, এখন ভয়াবহ ফ্যামিলি প্রব্লেমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
আমেরিকান বলল, লাভ ম্যারেজের কথা বলছ। আমার গল্প বলছি, আমি এক বিধবাকে বিয়ে করেছি, যাকে আমি প্রচন্ড ভালবাসি এবং তিনবছর ডেট করেছি তার সাথে। কয়েকবছর পরে আমার বাবা আমার স্টেপ-ডটারের প্রেমে পড়ে, তাই আমার বাবা হল আমার সন-ইন-ল, আমি হলাম আমার বাবার শ্বসুর। আমার মেয়ে হল আমার মা, বউ দাদী।
সমস্যা আরও বাড়ল যখন আমার একটা ছেলে হল। আমার ছেলে হল আমার বাবার ভাই তাই আমার চাচা। আরও গুরুতর হল যখন আমার বাবার আরেকটি ছেলে হল। এখন আমার বাবার ছেলে মানে আমার ভাই হল গিয়ে আমার নাতি।
শেষ পর্যন্ত আমি নিজে আমার দাদা এবং নিজের নাতি হলাম। আর তুমি বলতেছ ফ্যামিলি প্রবলেম। গিভ মি এ ব্রেক।

২৫-

টেকনিক্যাল সাপোর্ট

এক ব্যক্তি টেকনিক্যাল সাপোর্টে চিঠি লিখেছে-
ডিয়ার টেকনিক্যাল সাপোর্ট,
গত বৎসর আমি গার্লফ্রেন্ড ৭.০ থেকে ওয়াইফ ১.০ তে আপগ্রেড করেছিলাম। তার কিছুদিনের মাঝেই আমি বুঝতে পারলাম এটি অযাচিত ভাবে একটি চাইল্ড প্রসেসিং শুরু করেছে যা অনেক জায়গা এবং রিসোর্স নিয়ে নিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ওয়াইফ ১.০ ইনষ্টল হওয়ার সাথে সাথে অন্য প্রোগ্রামগুলোর সাথে ইন্টিগ্রেটেড হতে শুরু করেছে এবং বর্তমানে এটি সব ধরনের সিস্টেম একটিভিটি মনিটর করতে শুরু করেছে। ওয়াইফ ১.০ যেসকল প্রোগ্রামের সাথে কনফ্লিক্ট শুরু করেছে তার কয়েকটি- পোকার নাইট ৭.১, ফুটবল ৫.০, হান্টিং এন্ড ফিসিং ৭.৫ এবং গলফিং ৩.৬।
আমি ওয়াইফ ১.০ কে কিছুতেই ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসে পাঠিয়ে আমার প্রিয় এপ্লিকেশনগুলো রান করাতে পারছি না। তাই আমি ঠিক করেছিলাম আমার আগের গার্লফ্রেন্ড ৭.০ তে যাওয়ার ব্যপারে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য ওয়াইফ ১.০ তে কোনরকম আনইনস্টল প্রসিডিউর নাই। দয়া করে আমাকে উদ্ধার করুন।
ধন্যবাদ
সমস্যাগ্রস্থ গ্রাহক।

পরের দিন টেকনিক্যাল সাপোর্ট থেকে জবাব এসে হাজির-
জনাব সমস্যাগ্রস্থ ব্যবহারকারী,
এটা খুবই কমন একটি সমস্যা যেটির বিষয়ে প্রায়ই লোকজন অভিযোগ করে থাকে। বেশীরভাগ লোকই গার্লফ্রেন্ড ৭.০ থেকে ওয়াইফ ১.০ তে আপগ্রেড করে এটিকে একটি ইউটিলিটি প্রোগ্রাম ভেবে যা তাদের এন্টারটেইনমেন্টের জন্য কাজে আসবে। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে ওয়াইফ ১.০ একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ডিজাইন করাই হয়েছে সবকিছুর নিয়ন্ত্রন ভার নিজের কাছে নিয়ে নেয়ার মত করে। এবং এটিকে ডিলিট করার কোন উপায় নেই… এমনকি আনইষ্টল করারও কোন ব্যবস্থা নেই। এটি একবার যেখানে সেটাপ হয়ে যায় সেখানের সমস্ত সিষ্টেম ও প্রোগ্রাম ফাইলকে সরিয়ে জাঁকিয়ে হয়ে বসে। যাকে বলা যেতে পারে উড়ে এসে জুড়ে বসা!
আপনাকে আমরা দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনি ওয়াইফ ১.০ থেকে আর কোনদিনই গার্লফ্রেন্ড ৭.০ তে ফেরত যেতে পারবেন না… কারন এটি আপনাকে তা করতে দিবে না। আপনি দয়া করে ওয়াইফ ১.০ এর সাথে দেয়া সতর্কতাবাণী-মেইনটেনেন্স/চাইল্ড সাপোর্ট ম্যানুয়্যালটা পড়ে নিবেন। আপনার জন্য আমাদের পরামর্শ হলো আপনি ওয়াইফ ১.০ তেই থাকুন এবং চেষ্টা করুন পরিস্থিতি কিভাবে উন্নতি করা যায়। আমরা আপনাকে আরো উপদেশ দেব একটি ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্লিকেশন সেটাপ করে নেয়ার ব্যপারে যা এটির যেকোন আর্গুমেন্টে “ইয়েস ডিয়ার” রিটার্ন করবে।
এটি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আপনি সবসময়ই প্রথমে C:\APOLOGIZE! কমান্ডটি ব্যবহার করবেন। কারন শেষ পর্যন্ত আপনাকে ‘APOLOGIZE’ কমান্ডটাই ব্যবহার করতে হবে সিষ্টেম স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আনার জন্য।
তবে আমরা আপনাকে পুরোপুরি নিরাশ করতে চাই না..। বস্তুত ওয়াইফ ১.০ একটি চমৎকার প্রোগ্রাম কিন্তু এটিকে অনেক যত্নের সাথে রাখতে হয়। ওয়াইফ ১.০ অবশ্য বেশ কিছু সাপোর্ট প্রোগ্রাম সহকারে সেটাপ হয়ে থাকে, যেমন ক্লিন এন্ড সুইপ ৩.০, কুক ইট ১.৫ এবং ডু বিল ৪.২।
তবে এসব প্রোগ্রাম ব্যবহারের সময় আপনাকে খুবই সচেতন থাকতে হবে। কারন এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে গিয়ে একটু উনিশ বিশ হলেই কিছু থার্ড পার্টি প্রোগ্রাম ‘ক্যাট ক্যাট ১.৯’, ‘কাউ কাউ ৪.৯’ এক্সিকিউটেড হয়ে যাবে। আর একবার যদি তা হয়ে যায়.. তাহলেই সারছে! সিষ্টেমের বারোটা বেজে যাবে। তখন সিষ্টেমের আগের পারফরমেন্স ফেরত আনতে আপনাকে আরো বেশ কিছু ইউটিলিটি টুল কিনতে হবে। আমরা এক্ষেত্র আপনাকে ফ্লাওয়ার ২.১ ও ডায়মন্ড ৫.০ কেনার পরামর্শ দেব।
বিশেষ সতর্কতা: কোন রকমেই.. কোন অবস্থাতেই কোনরকম স্যাক্রেটারী উইথ শর্ট স্কার্ট ৩.৩ সেটাপ করতে যাবেন না। এই ধরনের এপ্লিকেশগুলো ওয়াইফ ১.০ এর সাথে একদমই ম্যাচ করে না এমনকি ফাইবার অপটিক লাইন কেটে গেলেও ৯০০ মেগাবাইট সাইজের অশান্তি ৯.৯ মূহুর্তের মাঝেই ডাউনলোড করে সিষ্টেমে বড় ধরনের ড্যামেজ করে দিতে পারে। বুইঝেন কিন্তু….



২৬-

কোন গাধাই বিয়ে করবেনা

প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।



২৭-প্রস্তাবে রাজী আছেন কিনা
এক ছেলে, তার প্রিয়তমার বাবার কাছে প্রস্তাব দিলো যে সে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। মেয়েটার বাবা জিজ্ঞেস করলো,
: আচ্ছা তুমি কি মদ খাও? জুয়া খেলো?
: আংকেল, ওসব পরে হবে, আগে বলুন আপনি প্রস্তাবে রাজী আছেন কিনা!



২৮-বিয়ে
জাদরেল উকিল -আপনি বিয়ে করেছেন তো
-আজ্ঞে হ্যা করেছি ।
-কাকে বিয়ে করছেন ?
- এক…একজন মেয়েকে
- রাবিস সেটাও বলতে হয়। কখনো শুনেছো কেউ কোন ছেলেকে বিয়ে করেছে শুনেছো?
- আজ্ঞে হ্যা আমার বোন করেছে ।



২৯-জীবনেও বিয়ে করব না
জজ সাহেবঃ যখন এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল তখন কি তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলে?
সাক্ষীঃ জী হ্যাঁ।
জজ সাহেবঃ তোমার এই ঝগড়া থেকে কি ধারনা হলো?
সাক্ষীঃ হুজুর আমি জীবনেও বিয়ে করব না



30পারফেক্ট মেয়ের খোঁজ
চল্লিশ বছর পার হয়ে গেছে তবু বিয়ে করেনি এক লোক। একদিন একজন এর কারণ জিজ্ঞেস করল।
লোকটি বলল, সারা জীবন আমি একটা পারফেক্ট মেয়ের খোঁজ করছিলাম।
–তা একটিও পান নি?
–পেয়েছিলাম একটি, কিন্তু সে আবার একটা পারফেক্ট ছেলের অপেক্ষায় ছিল।

বাংলা কৌতুক 'ডাক্তার-রোগী'

১-পশুদের ডাক্তার    (-ফেসবুক থেকে মন্তব্য দিন)
দিয়া একদিন বাবাকে বলল, ‘আমি বড় হয়ে পশুদের ডাক্তার হব।’
অবাক হয়ে বাবা বললেন, ‘কেন, দিয়া? মানুষের ডাক্তার না হয়ে তুমি পশুদের ডাক্তার হবে কেন?’
দিয়া গম্ভীর হয়ে বলল, ‘বাবা, তুমি জানো না, মানুষের ভুল চিকিৎসা করলে তারা নালিশ করে, কিন্তু পশুরা তা করে না


২-অসুখটা আসলে মানসিক
ডাক্তার: চিন্তার কিছু নেই। আপনার চাচার অসুখটা আসলে মানসিক। উনি মনে করেন উনি অসুস্থ, আসলে তা নয়।
কিছুদিন পর রোগীর খবর নিতে ফোন করলেন ডাক্তার।
ডাক্তার: কী অবস্থা আপনার চাচার?
রোগীর আত্মীয়: খুবই খারাপ! উনি মনে করেন, উনি মারা গেছেন


৩-হাঁটতে পারা
প্রথম বন্ধু: পা ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ডাক্তার বলেছিল, এক সপ্তাহের মধ্যেই আমি হাঁটতে পারব।
দ্বিতীয় বন্ধু: সত্যি সত্যি পেরেছিলি?
প্রথম বন্ধু: না পেরে কী উপায় ছিল! হাসপাতালের বিল মেটাতে গাড়িটা বিক্রি করে দিতে হলো যে।



৪-রোগী ভেগে গেল
ডাক্তার: আপনার ছেলের দাঁত তুলে দিয়েছি। এবার জলদি ৫০০ টাকা দিন।
মা: কিন্তু আপনার ফি তো ১০০ টাকা।
ডাক্তার: আপনার ছেলের চিৎকারে যে আমার আর চারটে রোগী ভেগে গেল, সেই টাকাটা কে দেবে, শুনি?


৫-মূত্র পরীক্ষা
এক বাচ্চা রোগীকে চিকিৎসক মূত্র পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন। নার্স বাচ্চাটিকে একটা টেস্টটিউব দিয়ে বললেন, যাও, টয়লেটে গিয়ে এটা ভর্তি করে আনো। বাচ্চাটি কিছুক্ষণ পর হাসি মুখে টয়লেট থেকে বেরিয়ে নার্সকে খালি টেস্টটিউবটি দিয়ে বলল, এটার দরকার পড়েনি। ভেতরে বড় একটা কমোড আছে।



৬-সবচেয়ে বড় সমস্যা
ছোট্ট রাতুলের শরীরটা খুব খারাপ। জ্বর, কাশি, ক্রমাগত বমি করছে। মা-বাবা তাকে নিয়ে ছুটলেন ডাক্তারখানায়। তাকে অনেক পরীক্ষার পর চিকিৎসক জিজ্ঞেস করলেন, বাবু তোমার সবচেয়ে বড় সমস্যাটা কী?
রাতুল অনেক ভেবেচিন্তে উত্তর দিল, আমার ছোট বোন।


৭-আমি একটা মুরগি
এক পাগল রোগী এসেছেন চিকিৎসকের কাছে—
চিকিৎসক: কী সমস্যা আপনার, বলুন?
রোগী: স্যার, আমার সব সময় মনে হয়, আমি একটা মুরগি।
চিকিৎসক: বলেন কী। তা কবে থেকে এমনটা মনে হয় আপনার?
রোগী: যখন আমি একটি ডিম ছিলাম, ঠিক তখন থেকেই, স্যার।



৮-

ঘুমের ওষুধ

এক ভদ্রমহিলা তাঁর স্বামীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেছেন। চিকিৎসক ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাদা কথা বলার পর প্রেসক্রিপশন লিখে ওই ভদ্রমহিলাকে বললেন, ‘আপনার স্বামীর বেশ কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়া দরকার। কয়েকটি ঘুমের ওষুধ লিখে দিয়েছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তা ওষুধগুলো ওনাকে কখন খেতে দেব?’
‘আরে এই ওষুধ আপনার স্বামীকে খাওয়াবেন কেন, ওগুলো তো আপনার জন্য।’




৯-

রোগীকে অজ্ঞান করা হয় কেন

চিকিৎসক তাঁর নতুন সহকারীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন—
চিকিৎসক: আচ্ছা বলো তো, অস্ত্রোপচার করার আগে রোগীকে অজ্ঞান করা হয় কেন?
সহকারী: এ তো খুব সহজ প্রশ্ন, স্যার। রোগী জেগে থাকলে আপনার অস্ত্রোপচার কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখে ফেলবে। আর পরে ওই রোগী যদি নিজেই ডাক্তারখানা খুলে অস্ত্রোপচার শুরু করে দেন, তাহলে তো আমরা পথে বসে যাব। এ জন্যই রোগীকে অজ্ঞান করা হয়, স্যার।



১০-১০ টাকার উপকার
হাবলু গেছেন চিকিৎসকের কাছে—
চিকিৎসক: বলুন, আপনার সমস্যা কী?
হাবলু: স্যার, এক মাস ধরে প্রতিদিনই ৫০ টাকার ওষুধ কিনে খাচ্ছি, কিন্তু আজ অবধি এক টাকারও উপকার হয়নি। কিছু একটা করুন, স্যার।
চিকিৎসক: ঠিক আছে, কোনো সমস্যা নেই। এই প্রেসক্রিপশনে ৪০ টাকার ওষুধ লিখে দিয়েছি। আমি নিশ্চিত, অন্তত ১০ টাকার উপকার এবার হবেই।



১১-

একটি সুসংবাদ ও একটি দুঃসংবাদ

চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: আচ্ছা, আমি হাসপাতালে কেন? কীভাবে এখানে এলাম?
চিকিৎসক: সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর আপনাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
রোগী: কী ঘটেছিল?
চিকিৎসক: ওসব বাদ দেন। আপনার জন্য একটি সুসংবাদ ও একটি দুঃসংবাদ আছে। বলেন কোনটা আগে শুনতে চান?
রোগী: দুঃসংবাদটিই আগে শুনি।
চিকিৎসক: হুম্ম। দুর্ঘটনায় আপনার পা দুটিতে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছিল। তাই আপনার দুটি পা-ই কেটে ফেলতে হয়েছে।
রোগী: হায়! আর সুসংবাদটি কী?
চিকিৎসক: সুসংবাদটি হলো, পাশের ওয়ার্ডের এক রোগী আপনার স্যান্ডেল জোড়া চড়া দামে কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই অফারে বেচবেন কি না, ভেবে দেখেন। কারণ, এ সুযোগ আর পাবেন না।



১২-

দুটি ঠোঁটেই পট্টি

রাস্তায় হোঁচট খেয়ে স্ত্রীর ওপরের ঠোঁটে আঘাত লাগায় স্ত্রীকে নিয়ে বিটলু গেছেন চিকিৎসকের কাছে।
চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে বিটলুর স্ত্রীর ওপরের ঠোঁটে একটি পট্টি মেরে দিয়ে বললেন, ‘আর কোনো সমস্যা নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।’
বিটলু চিকিৎসকের কানে কানে বললেন, ‘ওর দুটি ঠোঁটেই পট্টি মেরে দিতে ফি কত দিতে হবে, স্যার।’


১৩-

সুস্থ হলে

কয়েক দিন থেকেই পল্টুর শরীরটা বেশ খারাপ। এ কারণে তাঁর চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা।
দুই দিন পর পল্টুর এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোর না শরীর খারাপ। ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বসে আছিস কেন? চল, আজকেই তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব।’
‘না রে, আজ শরীরটা খুবই খারাপ। আমি উঠতেই পারব না। ভাবছি শরীরটা একটু সুস্থ হলে কাল একবার যাব।’


১৪-

দুইটা প্রেসক্রিপশন

চিকিৎসক ও এক রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: আচ্ছা, আমাকে দুইটা প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন কেন?
চিকিৎসক: হুম্ম, একটা হচ্ছে শুধুই আপনার জন্য; যাতে আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাহলে আপনার আগের সবকিছু ভালো লাগবে।
রোগী: তাহলে আরেকটা প্রেসক্রিপশন কী কারণে?
চিকিৎসক: শুধু আপনার ভালো লাগলে তো হবে না। ওষুধ কোম্পানিগুলোকেও তো ভালো লাগতে হবে, নাকি! ওদের দিকেও তো তাকাতে হবে আমাকে।


১৫-

ওষুধ গেলানো

রোগী: বাসার পাশের রাস্তায় কুকুরগুলো রোজ রাতে নিয়ম করে হল্লা করে। কিছুতেই ঘুমাতে পারি না।
ডাক্তার: এই ঘুমের বড়িটা নতুন এসেছে। খুব ভালো কাজ দেয়।
রোগী ওষুধ নিয়ে চলে গেল। কিন্তু এক সপ্তাহ বাদেই ফিরে এসে বলল, ‘এখনো আমার ঘুমের সমস্যা হচ্ছে।’
ডাক্তার প্রশ্ন করে, কিন্তু ওষুধটা তো বেশ ভালো। অনেকেরই কাজ হয়েছে।
রোগী: তাতে কি, সারা রাত কুকুরগুলোকে ধাওয়া করে একটা যদিও ধরতে পারি, কিছুতেই বদমাশটাকে ওষুধ গেলানো যায় না।


১৬-

ঘুমানোর ব্যবস্থা

মোখলেস চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বলল, ‘পাড়ার কুকুরগুলো সারা রাত চিৎকার করে। গত দুই রাত আমার মোটেও ঘুম হচ্ছে না। ঘুমানোর একটা ব্যবস্থা করে দিন না, স্যার।’
চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে একটি ওষুধের নাম লিখে দিয়ে বললেন, ‘একটা ওষুধ লিখে দিলাম, এটা ভালো কাজ করবে। সাত দিন পর এসে দেখা করে যাবেন।’ সাত দিন পর আবারও মোখলেস ওই চিকিৎসকের কাছে গেল। তাকে দেখে চিকিৎসক বললেন, ‘কী, এখন নিয়মিত ঘুম হয় তো?’
‘স্যার, অবস্থা তো আগের মতোই।’
‘বলেন কী? ওষুধ ঠিকমতো খাননি?’
‘কী যে বলেন, স্যার! আমি কেন ওষুধ খাব? আমি গত সাত দিন ধরেই কুকুরগুলোকে ওই ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু একটি কুকুরকেও ওষুধ খাওয়াতে পারিনি।’ মোখলেসের উত্তর।


১৭-নিউমোনিয়াতেই মারা যাবেন
রোগী: ডাক্তার, আপনি কি নিশ্চিত যে আমার নিউমোনিয়া হয়েছে? আমি কিন্তু একজনের কথা জানি যাকে ডাক্তার নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দিয়েছিল। পরে সে ক্যানসারে মারা যায়।
ডাক্তার: ঘাবড়াবেন না, আমি আপনাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দিলে আপনি নিউমোনিয়াতেই মারা যাবেন।

১৮-

উপরে যাবার রাস্তা

নিচতলার ছোট চেম্বার ছেড়ে দোতলায় বড় একটা চেম্বার নিলেন ডাক্তার আশিক। কিন্তু তার পর থেকেই হঠাৎ করে রোগী আসা বন্ধ হয়ে গেল। চিন্তায় পড়ে একদিন এক বন্ধুকে ডাকলেন চেম্বারে, খুলে বললেন সব কথা। বন্ধু শুনে হাসল। তারপর টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে আঙুল দিয়ে দেখাল তার সাইনবোর্ডটাকে। সেখানে লেখা, ‘ডাক্তার আশিক, এমবিবিএস’ আর তার নিচে লেখা ‘উপরে যাবার রাস্তা’।


১৯-শুনতে না পেলে…
মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছেন এক খেলোয়াড়। কোচ দ্রুত ছুটে এলেন মাঠের মধ্যে। তারপর খেলোয়াড়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলেন, ‘তুমি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছ? শুনতে পেলে একটা হাত ওপরে তুলে নাড়ো। আর শুনতে না পেলে দুই হাত ওপরে তুলে নাড়ো।’


২০-

নতুন আরেকটি বিয়ে

রাতেরবেলায় হাবলু বেশ উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসককে ফোন করেছে।
হাবলু: স্যার, দয়া করে তাড়াতাড়ি একটু আমাদের বাসায় আসুন। আমার স্ত্রী ব্যথায় উঠতে পারছে না। মনে হচ্ছে এটা অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা।’
চিকিৎসক: ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি সকাল হলেই আপনার বাসায় পৌঁছে যাব।’
হাবলু: কিন্তু স্যার, আমার স্ত্রীর অবস্থা যে খুবই খারাপ।
চিকিৎসক: (এবার একটু উত্তেজিত) কী বলছেন যা-তা! দুই বছর আগেই তো আপনার স্ত্রীর অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন করে ফেলেদিয়েছি। তার তো আর অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা হতে পারে না। এটা অন্য কোনো ব্যথা।’
হাবলু: সবই ঠিক আছে। কিন্তু স্যার, আমি যে নতুন আরেকটি বিয়ে করেছি।


২১-চাবি গিলে ফেলেছি
মন্টু ও চিকিৎসকের মধ্যে কথা হচ্ছে—
মন্টু: স্যার, আমি বাসার চাবি গিলে ফেলেছি।
ডাক্তার: বলেন কী! কখন এ ঘটনা ঘটালেন?
মন্টু: তা প্রায় মাস দুয়েক হবে।
ডাক্তার: এত দিন আসেননি কেন?
মন্টু: স্যার, তখন একটি নকল চাবি বানিয়ে নিয়েছিলাম। আজকে সেটাও হারিয়ে গেছে, তাই বাধ্য হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।


২২-

পেট্রল ফুরোলেই

হাবলুর ছেলে পানি ভেবে ভুল করে এক বোতল পেট্রল খেয়ে ফেলেছে। পেট্রল খাওয়ার পর থেকেই হাবলুর ছেলে অনবরত এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে লাগল। ছেলের কাণ্ড দেখে হাবলু তো মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। হাঁপাতে হাঁপাতে হাবলু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হাজির।
চিকিৎসক: সমস্যাটা কী, এভাবে হাঁপাচ্ছেন কেন?’
হাবলু: আর বলবেন না! আমার ছেলে পেট্রল খেয়ে শুধু এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। তাকে থামানোর একটা উপায় বাতলে দেন না।
চিকিৎসক: কোনো চিন্তা করবেন না। পেট্রল ফুরোলেই আপনার ছেলে থেমে যাবে।



২৩-

ঘুমানোর পরে আর ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগে

সঞ্জু এসেছে চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকেই সঞ্জু বললেন, ‘স্যার, আমি খুব বিপদে আছি। খাওয়ার পর আমার আর খিদে পায় না।’
চিকিৎসক বললেন, ‘তাই নাকি! তাহলে তো জটিল সমস্যা আপনার।’ এরপর একটু দাঁড়ান বলেই চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন লিখে সঞ্জুকে বললেন, ‘এখানে দুটি ওষুধের নাম লেখা আছে। নিয়মমাফিক খেলেই ঠিক হয়ে যাবেন। আর শুনুন, এক নম্বর ওষুধটি খাবেন ঘুমানোর পরে, আর দুই নম্বরটি ঠিক ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই খাবেন।’



২৪-

১০০তম রোগী

বাইপাস সার্জারি করতে চিকিৎসকের কাছে এক রোগী এসেছেন।
রোগী চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি বাইপাস সার্জারি করালে সফলতার নিশ্চয়তা কত ভাগ দিতে পারবেন?’
চিকিৎসক দরাজ গলায় বললেন, ‘অবশ্যই শতভাগ নিশ্চয়তা দেব আমি।’
রোগী বললেন, ‘কিন্তু শতভাগ দিতে পারবেন—এ ব্যাপারে এত নিশ্চিন্ত হলেন কী করে?’
‘মেডিকেল রেকর্ড বলে, প্রতি ১০০ জনে ৯৯ জন রোগীর চিকিৎসা ব্যর্থ হলে একজন অবশ্যই সফল হবে। এর আগে আমি ৯৯ জন রোগীর চিকিৎসা করেছি। তারা কেউই বাঁচেনি। আর আপনি হচ্ছেন আমার ১০০তম রোগী। সেই হিসাবে বলা যায়, আপনি সুস্থ হবেনই।’—চিকিৎসকের জবাব।



২৫-

চশমা চোখে দিয়ে বাসাতেই পড়ে নেব

মোহন চিকিৎসকের কাছে এসেছে চশমা নিতে। চিকিৎসক সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোহনকে একটা চশমা দিয়ে দিলেন।
চশমা পেয়ে মোহন চিকিৎসককে বলল, ‘এই চশমা দিয়ে কি আমি এখন পড়তে পারব?’
চিকিৎসক বললেন, ‘অবশ্যই পারবে।’ বাহ্, ভালো তো। তাহলে এখন থেকে আর অযথা সময় নষ্ট করে স্কুলে যাব না। চশমা চোখে দিয়ে বাসাতেই পড়ে নেব।’


২৬-

ওজন কমানোর জন্য একটু পরামর্শ

এক ভদ্রলোক ও চিকিৎসকের মধ্যে ফোনে কথা হচ্ছে—
ভদ্রলোক: চিকিৎসক, আমার ওজন কমানোর জন্য একটু পরামর্শ চাচ্ছি।
চিকিৎসক: কেন, সমস্যা কী আপনার?
ভদ্রলোক: আমি একটা সুন্দর উপহার পেয়েছি। কিন্তু মোটা হওয়ার কারণে সেটা ব্যবহার করতে পারছি না।
চিকিৎসক: ঠিক আছে, কাল একবার আসুন। প্রেসক্রিপশন দিয়ে দেব। তারপর ঠিকই আপনি আপনার পোশাকটি পরতে পারবেন।
ভদ্রলোক: আমি তো পোশাক নয়, একটা মারুতি গাড়ি উপহার পেয়েছি।


২৭-চেয়ার তো দুটি খালি
চিকিৎসক-রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: স্যার, আমার সমস্যা হলো, আমি সবকিছুই দুটি করে দেখি।
চিকিৎসক: হুম্, রোগটা বেশ জটিল মনে হচ্ছে।
রোগী: একটা কিছু করেন স্যার। আমি খুব সমস্যায় আছি।
চিকিৎসক: ঠিক আছে, সামনের খালি চেয়ারটিতে আগে বসুন তো।
রোগী: চেয়ার তো দুটি খালি। তা কোনটাতে বসব স্যার?


২৮-

ঘুমের ওষুধ

নার্স ঘুমন্ত রোগীকে জোর করে ডেকে তুলছেন দেখে চিকিৎসক জিজ্ঞেস করলেন, আরে আরে, করছেন কী? অযথা ঘুমন্ত রোগীকে ডাকছেন কেন?
নার্স মুখ কাঁচুমাচু করে বললেন, ‘স্যার, রোগীর এখন ওষুধ খাওয়ার সময়। না ডাকলে সঠিক সময়ে তাঁর ওষুধ আর খাওয়া হবে না।’
চিকিৎসক রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, তা কী সেই ওষুধ, যেটা তাকে এখনই খাওয়াতে হবে?
‘ঘুমের ওষুধ স্যার’, নার্সের জবাব।


২৯-

ওষুধের নাম লেখার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম

চিকিৎসকের কাছে এক রোগী এসে বলছেন, ‘ডাক্তার সাহেব, মনে হচ্ছে আমার জটিল রোগ হয়েছে। আমি সবকিছু শুধু ভুলে যাই।’
চিকিৎসক সব শুনে বললেন, তা কবে থেকে এই রোগ দেখা দিয়েছে আপনার?
রোগী অবাক হয়ে বললেন, ‘কোন রোগের কথা যেন বলছিলেন?’
চিকিৎসক আর কথা না বাড়িয়ে প্রেসক্রিপশন লিখে রোগীকে বিদায় করে দিলেন।
কিছুক্ষণ পর ওই রোগী আবারও চিকিৎসকের কাছে ফিরে এসে বললেন, ‘ডাক্তার, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তো কোনো দোকানেই আমি আপনার লিখে দেওয়া ওষুধ কিনতে পারলাম না।’
এবার চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনটা হাতে নিয়ে দেখে বললেন, ‘ওহ্, ওষুধের নাম লেখার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। এখানে তো শুধু আমার স্বাক্ষরটা করে দিয়েছি।’


৩০-ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা
চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: স্যার, আমি অনেক দিন ধরেই ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই ছাড়তে পারছি না। আপনি একটু পরামর্শ দিন না, স্যার।
চিকিৎসক: তা কত দিন ধরে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করছেন?
রোগী: বছর দুয়েক তো হবেই।
চিকিৎসক: বলেন কী? শিগগির কোনো পেট্রলপাম্পে চাকরি খুঁজে নিন, সব ঠিক হয়ে যাবে।


৩১-ব্যবস্থা
পল্টু ও চিকিৎসকের মধ্যে ফোনালাপ—
পল্টু: চিকিৎসক, আমার ছেলে একটি ব্লেড গিলে ফেলেছে। একটু জলদি বাসায় চলে আসুন না!
চিকিৎসক: ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি শিগগির আসছি। আপনি কি অন্য কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন?
পল্টু: হুমম, বাধ্য হয়ে বৈদ্যুতিক রেজর দিয়েই দ্রুত শেভটা করে নিচ্ছি।


৩২-

এত ওষুধ

শরীর ভালো ঠেকছে না বলে ডাক্তারের কাছে গেলেন শফিক সাহেব। ডাক্তার কতক্ষণ পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দিলেন, ‘এই লম্বা বড়িটা সকালবেলা দুই গ্লাস পানির সঙ্গে খাবেন। ক্যাপসুলটা খাবেন দুপুরে, দুই গ্লাস পানির সঙ্গে। আর এই সিরাপটা দিলাম, রাতে খেয়ে তারপর দুই গ্লাস পানি খাবেন।’
ওষুধের বহর দেখে শফিক সাহেব তো ঘাবড়ে গেলেন। বললেন, ‘এত ওষুধ! আমার হয়েছে কী, ডাক্তার?’
ডাক্তার বললেন, ‘আপনি ইদানীং পানি কম খাচ্ছেন।’


৩৩-

লাইট খাবার

রাতের বেলায় খাবার না খেয়ে সঞ্জু টিউব লাইটের নিচে গিয়ে মুখ হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। টিউবলাইটের নিচে অনেকক্ষণ সঞ্জুর দাঁড়িয়ে থাকা দেখে তাঁর স্ত্রী অবাক হয়ে বলল, ‘কী ব্যাপার! তুমি লাইটের নিচে মুখ হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছ কেন!’
‘আর বোলো না। ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি রাতের বেলায় লাইট (হালকা) খাবার খেতে বলেছেন। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা হয়ে যাচ্ছে লাইটের নিচে মুখ হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছি, পেট তো ভরছে না!’—


৩৪-আরও একটু হাঁ করুন
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমার দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা।
ডাক্তার: হাঁ করুন।
রোগী: হাঁ…।
ডাক্তার: আরও একটু হাঁ করুন।
রোগী: করছি তো।
ডাক্তার: আরও একটু।
রোগী: কী ব্যাপার, ডাক্তার সাহেব! আমার মুখের ভেতর বসে দাঁত খুলবেন নাকি



৩৫-

রোগী কিছুক্ষণ আগেই মারা গেছে

মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন, ‘বলো তো রোগীর হূৎস্পন্দন কমতে থাকলে এই ওষুধটা ঠিক কী পরিমাণ দিতে হবে?’
ছাত্র বলল, ‘পাঁচ মিলিগ্রাম।’
অধ্যাপক কিছু না বলে পড়াতে শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর সেই ছেলেটা হাত তুলল, ‘স্যার, আমি ওষুধের পরিমাণটা পাল্টাতে চাই।’ অধ্যাপক উত্তর দিলেন, ‘কোনো লাভ নেই, তোমার রোগী কিছুক্ষণ আগেই মারা গেছে।’


৩৬-

জুতাগুলো কত দিন টিকবে

এক ডাক্তার গেছেন দোকানে। জুতা কিনে কাউন্টারে মূল্য পরিশোধ করার সময় দোকানদারের কাছে জানতে চাইলেন, ‘জুতাগুলো কত দিন টিকবে?’
‘এটা নির্ভর করছে ব্যবহারের ওপর। আপনি যদি জুতা পায়েই না দেন, তবে সারা জীবনেও এগুলোর কিছু হবে না।’ রসিকতা করে দোকানদার বললেন।
কিছুদিন পর ওই দোকানদার অসুস্থ হয়ে গেছেন ওই ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার তাঁকে দেখেটেখে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিলেন। ফি জমা দেওয়ার সময় রোগী জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভালো হতে কত দিন লাগতে পারে, ডাক্তার সাহেব?’
‘এটা নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর। আপনি ওষুধগুলো না খেলে সারা জীবনেও কিছু হবে না।’ জবাব দিলেন ডাক্তার।


৩৭-আর কত দিন বাঁচব
শরীর ভালো লাগছিল না বলে এক ভদ্রলোক গেলেন ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তার: আপনার জন্য দুঃসংবাদ আছে। আপনি খুব শিগগির মারা যাবেন।
রোগী: খুব শিগগির? আমি আর কত দিন বাঁচব, ডাক্তার?
ডাক্তার: ১০…
রোগী: ১০ কী? বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন…?
ডাক্তার: ১০…৯…৮…৭…৬…




৩৮-দীর্ঘজীবন লাভের উপায়
ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: আচ্ছা ডাক্তার সাহেব, দীর্ঘজীবন লাভের কোনো উপায় আছে?
ডাক্তার: বিয়ে করে ফেলুন।
রোগী: এতে দীর্ঘজীবন লাভ হবে?
ডাক্তার: না। তবে আপনার দীর্ঘজীবন লাভের ইচ্ছাটা মরে যাবে।


৩৯-

যখন ডাক্তারি করতাম

এক ডাক্তারের বাড়িতে পানির পাইপ নষ্ট হয়ে গেল। ডাক্তার একজন মিস্ত্রি আনলেন সারাই করতে। মিস্ত্রি কতক্ষণ খুটখাট করল। ডাক্তার দেখলেন পানির পাইপ ঠিক হয়ে গেছে। খুশি হয়ে তিনি মিস্ত্রিকে বললেন, ‘তোমাকে কত দিতে হবে?’ মিস্ত্রি জবাব দেয়, ‘৫০০ টাকা।’ ডাক্তার তো ভীষণ অবাক, ‘বলে কী! আরে এইটুকু সময়ের জন্য আমিও তো এত টাকা পাই না।’
‘যখন ডাক্তারি করতাম, তখন আমিও পেতাম না।’ মিস্ত্রির সাফসুতরো জবাব।




৪০-সমস্যাটা কী
রোগী: ডাক্তার, আমি সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, যখন-তখন রেগে যাই…
ডাক্তার: সমস্যাটা কী?
রোগী: গাধার বাচ্চা! কানে শুনিস না? এইমাত্রই তো বললাম তোকে!

৪১-ঋণ শোধ
: আপনার এ উপকার জীবনে ভুলব না ডাক্তার সাহেব। কত পরিশ্রম করে আমার প্রায় মরা ছেলেকে বাঁচালেন। আমি গরিব, কিছুই দিতে পারলাম না। গায়ে-গতরে খেটে যে-কোনো দিন আপনার এ ঋণ আমি অবশ্যই শোধ করব।
: তা, তুমি কী কাজ কর?
: লাশ ধোয়াই।



৪২-টোব্যাকো থেকে দুরে
গড়গড়া দিয়ে তামাক টানছেন এক ভদ্রলোক। নলটা অনেক লম্বা। গড়গড়াটা এক কোণে আর ভদ্রলোক বসে আছেন ঘরের অন্য কোণে।
এ সময় তার বন্ধু ঘরে ঢুকে বলল, কী ব্যাপার, সিগারেট ছেড়ে গড়গড়া টানছ কেন?
আর নলটাই বা এত লম্বা কেন?
ভদ্রলোক বললেন, ডাক্তার আমাকে টোব্যাকো থেকে দুরে থাকতে বলেছেন।


৪৩-

দেখি কোন শালা আমার দাঁত তুলতে আসে

ডেন্টিষ্টের চেম্বার।
: ভয়ের কিছু নেই, চট করে আপনার দাঁত তুলে দেব।
: না, না, ডাক্তার সাহেব, আমার ভীষণ ভয় করছে। যন্ত্রণায় আমি মরেই যাব।
: ঠিক আছে, এই নিন। খানিকটা ব্রান্ডি খেয়ে নিন। ব্রান্ডি খাওয়ার পর।
: কি, এখন সাহস বেড়েছে তো?
: নিশ্চয়ই বেড়েছে। এখন দেখি কোন শালা আমার দাঁত তুলতে আসে। হাত লাগাতে আসুক, বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। এক ঘুসিতে দাঁত ফেলে দেব।


৪৪-পেশায় স্থান
কবর খোঁড়ার কাজ করে এমন এক লোক শহরের এক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ পেছন ফিরে সে দেখল তার পিছে পিছে একজন ডাক্তার আসছেন। সে দাঁড়িয়ে পড়ল। ডাক্তারকে আগে যেতে দিয়ে তাঁর পিছে পিছে সে হাঁটতে লাগল।
ডাক্তার জানতে চাইলেন, এ রকম করলে কেন?
লোকটি বলল, পেশায় আপনার পরেই তো আমার স্থান।


৪৫-

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ফুসকুড়ি উঠল দুকভের। ঘাড়ে। দুকভ গেল ডাক্তারের কাছে। ফুসকুড়ি প্রতিষেধক ওষুধ দিল ডাক্তার। দুকভ ওষুধ খেল, ঘুরে উঠল মাথা।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
দিল অন্য ওষুধ মাথা ঘোরা বন্ধ করার। দুকভ খেল। চুল পড়তে শুরু করল তার। দুকভ গেল ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
দিল টাক প্রতিষেধক ওষুধ। দুকভ খেল। শুরু হলো দাঁতব্যথা। দুকভ দৌড়াল ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
দাঁতের ব্যথা সারার ওষুধ দিল। দুকভ খেল। প্যারালাইসিস হয়ে গেল দুই পায়ে। দুকভ ডাক্তারের কাছে গেল কোনোমতে।
ডাক্তার আবার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
প্যারালাইসিস নিরাময়ের ওষুধ দিল। দুকভ খেল। কান কট্কট্ করতে শুরু করল।
দেখে ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ক্লোরিন দিয়ে কান পরিষ্কার করল। খসে পড়ল দুকভের দুই কান।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ইনজেকশন দিল। ৫০০ সিসি করে। মাথার দুই পাশে। দুকভের চোখ কপালে উঠে গেল।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
দুকভ জিজ্ঞেস করল, এখন কী করা?
ডাক্তার উত্তর দিল, বিদ্যুতের শক দিয়ে চিকিৎসা করা হবে।
শক দেওয়া হলো। প্রথমে ২২০ ভোল্ট, পরে ৩৮০। দুকভের দুই চোখ চলে গেল মাথার পেছনে।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
অপারেশন করল। প্রথমে সারা শরীরে দেখা দিল লাল লাল দাগ। পরে সবুজ সবুজ।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আকুপাংচারে কাজ হতে পারে।
শরীরের যেখানে যেখানে সুচ ফোটানো সম্ভব, ফোটাল। পাথরের ব্যথা শুরু হলো কিডনিতে।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। জলচিকিৎসা করতে হবে।
কিডনির ব্যথা প্রবলতর হলো।
ডাক্তার বলল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
পাথর গুঁড়ো করে ফেলতে হবে।
হাতুড়ি নিয়ে কাজে নেমে পড়ল ডাক্তার। দুকভের হার্ট অ্যাটাক হলো।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ডাক্তার বলল, ভান করতে আপনি যদিও ভালোই পারেন, তবু মেডিকেল লিভের একটা সার্টিফিকেট আপনাকে দিচ্ছি।
এক মাসের লিভ? জিজ্ঞেস করল দুকভ।
এক মাসের মানে? ডাক্তার বলল, শুধু আজকের। কাল থেকেই আবার কাজে যাবেন।
শুনেই মারা গেল দুকভ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল ডাক্তার, বের করে নিয়ে যাও ওকে। নেক্সট!


৪৬-

মার্বেলটি তাড়াতাড়ি বের করে দিন

রাম ও জনি দুই বন্ধু মার্বেল দিয়ে খেলতে খেলতে হুট করেই দৌড় দিল হাসপাতালের দিকে। রাম হাঁপাতে হাঁপাতে ডাক্তারকে বলল, ‘ডাক্তার, আমি একটি মার্বেল গিলে ফেলেছি। মার্বেলটা তাড়াতাড়ি বের করে দিন!’
ডাক্তার বললেন, ‘হুম্ দেখছি, দাঁড়াও। তা তোমার সঙ্গে ও কি তোমার বড় ভাই নাকি?’ এ কথা শুনেই জনি বলল, ‘না না, ডাক্তার, ওর গিলে ফেলা মার্বেলটি খেলায় আমিই জিতেছি। মার্বেলটি তাড়াতাড়ি বের করে দিন না, প্লিজ।’

৪৭-বংশগত রোগ
চোখের সমস্যার চিকিৎসার জন্য শ্যাম গেছে চিকিৎসকের কাছে।
চিকিৎসক: আরে এত অল্প বয়সে আপনার চোখে ছানি পড়ল কীভাবে?
শ্যাম: বলেন কী চিকিৎসক সাহেব!
চিকিৎসক: এত চিন্তার কিছু নেই। এটা বংশগত রোগ।
শ্যাম: মৃত্যুও তো বংশগত। তাই বলে কি এটা নিয়েও চিন্তা করব না?


৪৮-

খাওয়ার পর ক্ষুধা লাগে না

এক রোগী চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকেই বললেন, ‘চিকিৎসক সাহেব, কোনো কিছু খাওয়ার পর আমার আর কিছুতেই ক্ষুধা লাগে না। বেশ সমস্যায় পড়েছি এ নিয়ে। একটু চেক করে দেখুন তো।’
এ কথা শুনে চিকিৎসক বললেন, ‘হুম, আপনার অবস্থা তো দেখছি খুবই খারাপ।’
এ কথা বলে চিকিৎসক চিকিৎসাপত্রে কিছু ওষুধের নামসহ লিখে দিলেন, ‘প্রতিদিন একটা ওষুধ ঘুমানোর পর খাবেন, আরেকটা খাবেন ঘুম ভাঙার আগে।’


৪৯-

ফি-টা এবার পরিশোধ করুন

এক ভদ্রলোক চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছেন—
ভদ্রলোক: আমার সন্তানের জীবন বাঁচানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিকিৎসক: এখানে আমি কিছু নই। জীবন বাঁচানোর মালিক সৃষ্টিকর্তা। তার দয়ায় তো সবকিছু হয়।
ভদ্রলোক: হুম, তিনিই তো সবকিছুর মালিক।
চিকিৎসক: ঠিক আছে, আমার ফি-টা এবার পরিশোধ করুন।
ভদ্রলোক: না না ডাক্তার সাহেব, এটা আপনাকে দেব কেন? ফি-টা যাকে দেওয়ার তাকে দেব।


৫০-

কীভাবে উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করে

এক রোগী ডাক্তারের কাছে গেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর—
ডাক্তার: আপনার তো উচ্চরক্তচাপ আছে।
রোগী: মনে হয় এটা আমার পরিবার থেকেই এসেছে।
ডাক্তার: এটা আপনার বাবার দিক, না মায়ের দিক থেকে এসেছে বলুন তো?
রোগী: নাহ! এটা আমার বউয়ের পরিবার থেকে এসেছে।
ডাক্তার: বলেন কী? এটা কীভাবে হলো?
রোগী: একদিন তাদের সঙ্গে মিশলেই দেখবেন তাঁরা কীভাবে উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করে।


৫১-

চোখের অপারেশন

এক ভদ্রমহিলার চোখে অপারেশনের পর হাসপাতালে চিত্কার-চেঁচামেচি দেখে ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন,
ডাক্তার: হয়েছেটা কী বলুন তো? চিত্কার করছেন কেন?
ভদ্রমহিলা: চিত্কার করব না কি হাসব? আপনার হাসপাতালে আমার মাথার পরচুলা চুরি হয়েছে।
ডাক্তার: আমাদের এখানে মনে হয় চুরি হয়নি। আর আপনি বুঝলেন কী করে যে আপনার পরচুলা চুরি হয়েছে?
ভদ্রমহিলা: অপারেশনের আগে পরচুলাটি সস্তা মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন অন্য রকম লাগছে, তাই।
ডাক্তার: চিন্তা করবেন না। আপনার চোখের অপারেশনটা মনে হয় সফলভাবেই হয়েছে।


৫২-

ব্রেইন ট্রান্সপ্লান্ট

ডাক্তার ল্যাব থেকে বেরিয়ে রোগীকে বললেন—‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আপনার ব্রেইন-টিউমার এবং এটি এমন পর্যায়ে আছে যে এখন আর কোনো সার্জারিও সম্ভব নয়। তবে ভালো খবর হলো, আমরা ব্রেইন ট্রান্সপ্লান্টের অনুমোদন পেয়ে গেছি। আমরা চাইলে আপনাকে নতুন ব্রেইন দিতে পারি।’
রোগীটির কপাল ভালো যে, হাসপাতালে কিছুক্ষণ আগেই রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাওয়া এক তরুণ দম্পতির লাশ এসেছে।
ডাক্তার বললেন, ‘আপনি ইচ্ছা করলে এক লাখ টাকা দিয়ে পুরুষটির ব্রেইন নিতে পারেন, আর মহিলাটির ব্রেইন নিলে খরচ পড়বে ৩০ হাজার টাকা।’ রোগী জিজ্ঞেস করলেন, দামের এত পার্থক্যের কারণ কী?
ডাক্তার জানালেন, ‘মহিলাটি তাঁর ব্রেইন আগে ব্যবহার করেছেন।’


৫৩-ঘুম পালিয়ে যায়
: ডাক্তার সাহেব, দারুণ সমস্যায় পড়েছি। আমার রাতে ঘুমই আসে না, শুধু …
: শুধু?
: ইয়ে মানে শুধু মদ খেলেই আসে।
: তাহলে প্রতি রাতে পরিমানমতো একটু ড্রিংক করলেই তো পারেন।
: কিন্তু তারপর বিছানা খুঁজে পেতেই তো আবার ঘুম পালিয়ে যায়।


৫৪-

ছবি উপহার

একজন সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞের জন্মদিনে হাসপাতালের সকল কর্মচারী মিলে তাকে একটি বিশাল বড় চোখের ছবি বাঁধিয়ে উপহার দিল। হাসপাতালের সব ডাক্তার এবং কর্মচারীর উপস্থিতিতে যখন সেটার মোড়ক উন্মোচন হল তখন কর্মচারীর ঘোষণা ছিল যে তারা সিন্ধান্ত নিয়েছে যে এখন থেকে সকল ডাক্তারের জন্মদিনেই এমন একটি করে ছবি তাদের উপহার দেবে। তাদের কথা শেষ হতে না হতেই একজন গোঁ গোঁ করে মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন। তিনি ছিলেন ওই হাসপাতালের সিনিয়র যৌন বিশেষজ্ঞ।


৫৫-

পানির তাপমাত্রা নির্ণয়

ডাক্তার-অধ্যাপক : ধর কোনো বাচ্চাকে গোসল করাবে, তা হলে তার পানির তাপমাত্রা মাপবে কীভাবে?
ছাত্র : এটা তো কোনো ব্যাপারই না। বাচ্চাকে প্রথমে পানিতে চুবিয়ে দেখতে হবে তার গায়ের রং কী হয়। যদি গায়ের রং লাল হয় তবে বুঝব পানি ঠান্ডা, যদি বেগুনি হয় তবে বুঝব পানি গরম, আর যদি বাচ্চার রং ফ্যাকাসে হয় তবে বুঝব তাকে আর গোসল করাবার দরকার নেই।



৫৬-

ডাক্তার লাগলে বলতে পারেন

ব্যস্ত রাস্তায় দুটো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হল। আশপাশের লোকজন ছুটে গেল তাদের সাহায্য করতে। সবার আগে পৌছল একটি মহিলা। হঠাৎ ভিড় ঠেসে এক লোক ভেতরে ঢুকে গেল। সে বাকি সবার মতো মহিলাটিকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলল সরুন সরুন আমাকে দেখতে দিন, আমার ফার্স্ট এইডের ওপর কোর্স করা আছে। ধাক্কা খেয়ে মহিলা কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে পড়ল। তারপর পেছন থেকে এসে তার ঘাড়ে আলতো টোকা দিয়ে বলল- ঠিক আছে দেখুন, কিন্তু ডাক্তার লাগলে আমকে বলতে পারেন। আমি পেছনেই আছি।


৫৭-

জেল থেকে বের

এক কয়েদি দুদিন পর পরই অসুস্থ হয়ে জেল ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। এবার তাকে পরীক্ষা করে ডাক্তার জানাল তার একটি কিডনি কেটে ফেলে দিতে হবে। এটা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল কয়েদি।
: ডাক্তার ! আমি প্রথমবার যখন আসলাম তুমি আমার টনসিল কেটে নিলে, দ্বীতীয়বারে এ্যাপেন্ডিস, পরেরবার পাথর হয়েছে বলে গলব্লাডার কাটলে। আমি তোমার কাছে আসি এই আশা নিয়ে যে অসুস্থ বলে তুমি আমাকে জেল থেকে বেরুতে সাহায্য করবে আর তুমি নির্বোধ কিনা এখন উল্টো কিডনি কেটে ফেলার কথা বলছ !!!
: আরে ! এত রেগে যাচ্ছ কেন ! একবারে কি সব হয় নাকি? আমি তো একটু একটু করে তোমাকে জেল থেকে বের করেই নিচ্ছি।



৫৮-

ব্যাগটাই খুলতে পারলাম না

সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে ডাক্তারের রুমে ঢুকিয়ে বাইরে স্বামী অপেক্ষা করছে। একটু পর ডাক্তার বেরিয়ে এল, একটা লোহার রেঞ্জ নিয়ে আবার রুমে ঢুকল। কিছুক্ষণ পর এসে আবার এক জোড়া প্লায়ার্স নিয়ে ভেতরে ঢুকল। একটু পরে সে বাইরে এসে বড়সড় একটা হাতুড়ি নিয়ে যেই আবার রুমে ঢুকতে যাবে তখন স্বামী আর সহ্য করতে না পেরে ডাক্তারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জিজ্ঞেস করল-সত্যি করে বল আমার স্ত্রীর কী হয়েছে?
ডাক্তার ভয় পেয়ে বলল-কী-কী করে বলি? এখনো তো আমার ব্যাগটাই খুলতে পারলাম না।


৫৯-

সমস্যার সমাধান

এক রোগী হন্তদন্ত হয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেল-
: ডাক্তার সাহেব আমি আজ ছয় মাস যাবৎ বিছানায় ঘুমাতে পারি না। খাটের ওপর শোবার পর মনে হয় খাটের নিচে কেউ লুকিয়ে আছে। নিচে গিয়ে শুলে মনে হয় সে খাটের ওপরে। এভাবেই সারা রাত কাটিয়ে দেই … উপরে … নিচে…উপরে …নিচে … আমাকে আপনি বাঁচান।
সব শুনে ডাক্তার জানাল যে তার সমস্যাটা আসলেই ভয়াবহ, তবে চিকিৎসাযোগ্য। তাকে প্রতি মাসে চারবার করে টানা ছয় বছর ডাক্তারের কাছে এসে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রতি সিটিঙের জন্য ফি দেড় শ ডলার।
এরপর আবারো এক বছর পর ডাক্তার-রোগীর দেখা।
: আরে ! আপনি ! ব্যাপার কী? আপনি সেই যে গেলেন আর আসলেন না কেন?
ডাক্তার জানতে চায়।
: প্রতি সিটিঙে দেড় শ ডলার দেবার জন্য? হাহ ! মাত্র দশ ডলার খরচ করেই আমার সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে!-রোগী জানাল।
: কী ভাবে?
: একটা করাত কিনে খাটের পাগুলো কেটে ফেলে দিয়েছি।


৬০-

দিচ্ছেন কাগজের চশমা

একটা ছোট বাচ্চা চোখ দেখাতে গেল ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার তাকে বললেন
: খোকা তুমি ডান চোখ বন্ধ করে এ লেখাটি পড়ার চেষ্টা কর।
বাচ্চাটি ডান বাম বুঝতে পারল না। ডাক্তার তখন বললেন “ঠিক আছে তুমি তোমার ডান হাত দিয়ে ডান চোখ চেপে ধরে এ লেখাটি পড়ার চেষ্টা কর।” এবারও বাচ্চাটি ডান হাত বাম হাত গুলিয়ে ফেলল। ডাক্তার ধৈর্য হারালেন না। তিনি এবার নতুন বুদ্ধি করলেন। একটা কাগজে দুটো ফুটো করলেন। এবার একটা ফুটো তিনি নিজেই চেপে ধরে অন্য ফুটোটি বাচ্চার এক চোখের সামনে ধরে বললেন, এবার পড় তো লেখাটি-বাচ্চাটি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল।
: কী হল তোমার?
: ই ই ই আমি বড় ভাইয়ের মতো কাচের চশমা চাচ্ছিলাম আর আপনি দিচ্ছেন কাগজের চশমা ই ই ই ….



৬১-দরজাটা কিছুতেই খুলছে না
: ডাক্তার সাহেব প্রতি রাতে আমি স্বপ্ন দেখি একটা দরজার হাতল ধরে টানছি কিন্তু দরজাটা কিছুতেই খুলছে না।
: হুম দরজার উপর কিছু লেখা থাকে।
: হ্যাঁ লেখা থাকে “PUSH”


৬২-গাড়িটা বেচতে হল
: দেখুন ডাক্তার সাহেব আমার দুপা ফুলে কী হয়েছে।
: কী করে হল?
: ঐ যে গত মাসে আপনি আমার স্ত্রীর চিকিৎসা করলেন তারপর থেকেই ….
: স্ত্রীর চিকিৎসার সঙ্গে আপনার পা ফোলার সম্পর্ক কী?
: মানে স্ত্রীর চিকিৎসার বিল মেটাতে গিয়েই তো গাড়িটা বেচতে হল … তারপর থেকেই ….।


৬৩-গর্ত ফিলিং না করলেই নয়
জনৈক ডেন্টিস্ট গলফ খেলতে রওনা দেবেন এমন সময় ফোন এল-
: ডাক্তার সাহেব বাঁচান, প্রচন্ড ব্যথা, দাঁতের গর্তটা ফিলিং না করলেই নয়….
: কিন্তু এই মুহুর্তে আমাকে ১৮টা গর্ত ফিলিং না করলেই নয়।


৬৪-

ভিজিট দেবার ইচ্ছে

রোগী : জানেন ডাক্তারবাবু ইচ্ছে নামক জিনিসটাই আমার মন থেকে চলে গেছে।
খেতে ইচ্ছে করে না। কারুর সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। সিনেমা, থিয়েটার, খেলাটেলা কিছুইতে আমার ইচ্ছে নেই।
(ডাক্তারবাবু পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশান লিখে দিলেন। রোগী উঠে পড়ল)
রোগী : চলি ডাক্তারবাবু।
ডাক্তার : কিন্তু আমার ভিজিটটা?
রোগী : তাহলে আমাকে এতক্ষণ ধরে কী একজামিন করলেন? দেখি আপনার ওষুধ খেয়ে, তখন যদি আপনাকে ভিজিট দেবার ইচ্ছেটা হয়, দিয়ে যাব।



৬৫-

শেষবারের মতো বলছি

এক লোক তার স্ত্রীর ব্যাপারে বেশ চিন্তিত হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন।
: ডাক্তার সাহেব আমার স্ত্রীর বোধ হয় কানে শোনার সমস্যা আছে। আমি যেই প্রশ্নই করি না কেন সে কোনো জবাব দেয় না, মনে হয় যেন শুনতেই পায় না।
: দেখুন পরীক্ষা না করেই তো আর অবস্থা বোঝা যায় না। আপনি এক কাজ করুন। আজ বাসায় যেয়ে তার থেকে অন্তত পনের হাত দুরে দাঁড়িয়ে যে কোনো একটা প্রশ্ন করবেন, সে শুনতে না পেলে আরেকটু কাছে যেয়ে আবার একই প্রশ্ন করুন । এভাবে সে না শোনা পর্যন্ত বলতে থাকুন। তারপর কাল এসে আমাকে জানিয়ে যাবেন।
ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখলেন স্ত্রী রান্নাঘরে কাজ করছে। তিনি দরজার কাছ থেকে জানতে চাইলেন রাতের খাবার কী? কিন্তু স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো জবাব পেলেন না। তিনি রান্নাঘরের কাছে গিয়ে আবারো জানতে চাইলেন রাতে সে কী রান্না করছে। এবারও কোনো জবাব নেই। লোকটি এবার তার স্ত্রী থেকে মাত্র দু হাত দুরে দাঁড়িয়ে একই প্রশ্ন করলেন। কিন্তু তবু স্ত্রীকে কোনো জবাব না দিতে দেখে তিনি চিন্তিত হয়ে একদম তার কানের কাছে গিয়ে আবার একই প্রশ্ন করলেন। এবারে স্ত্রী ঘুরে দাঁড়িয়ে রাগী ভঙ্গিতে বলল- ‘চতুর্থ এবং শেষবারের মতো বলছি, রাতের খাবার মুরগি ও ডিম ভুনা’।

৬৬-

পাগলামির লক্ষণ

মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে এক লোক। ডাক্তার এলেন। রোগীকে দেখেশুনে বললেন, ‘এত দেরি করলেন কেন আমাকে ডাকতে? এ তো দেখছি পাগলামির লক্ষণ প্রকট হয়ে উঠেছে। এই স্টেজে আমার আর কী করার আছে বলুন?’
রোগীর আত্মীয় বললেন, ‘কী করব বলুন, ডাক্তার সাহেব। যতক্ষণ মাথা ঠিক ছিল, ততক্ষণ কি আর উনি ডাক্তার ডাকতে দিয়েছেন? যেই বললেন, বোলাও ডাক্তার, তক্ষুনি আপনাকে কল দিয়েছি।’


৬৭-

দাঁত আর তুলব না

‘মাত্র দু’টাকার দাঁত তোলা হয়’ এই সাইনবোর্ড দেখে হাড় কিপটে এক বুড়ো ভিতরে ঢুকল। ডাক্তারখানায় বেশ ভিড়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর তার ডাক এল। কিন্তু একটা দাঁত তোলার পর ডেন্টিষ্ট রিবক্ত হয়ে বলল, যান, আপনার দাঁত আর তুলব না। দিন চল্লিশ টাকা দিন।
: চল্লিশ টাকা কেন ? দাঁত তো মাত্র একটা তুলছেন।
: আপনার চেঁচানি শুনে আমার উনিশ জন রোগী পালিয়ে গেছে। তাঁদের একটা করে দাঁত তুললেও আমি পেতাম আটত্রিশ টাকা।



৬৮-

হেঁটেই এসেছি

এক রোগী ডাক্তার সাহেবের কাছে এসেছেন তাঁর পাওনা মেটাতে। ডাক্তার সাহেব তাঁর পাওনা বুঝে নিয়ে আনন্দের সাথে অন্যান্য রোগীদের শুনিয়ে বললেন, কি আমি ঠিক বলি নি, আপনি দু’ মাসের মধ্যে হাঁটতে পারবেন?
: হ্যাঁ, তা বলেছিলেন। আমি হেঁটেই আপনার এখানে এসেছি। কারণ আপনার ফিস মেটাতে গতকাল আমার গাড়িটা বিক্রি করতে হয়েছে।



৬৯-দাঁত তুলতে কত
: একটা দাঁত তুলতে কত নেবেন, ডাক্তার সাহেব?
: এক শ’ টাকা।
: এটা তো মাত্র দু’ মিনিটের কাজ, এর জন্য এক শ’টাকা?
: আপনি চাইলে দু’ মিনিটের জায়গায় দু’ ঘন্টা ধরে তুলতে পারি।


৭০-

আগে বিড়ালটা বের করি

: ডাক্তার জলদি আসুন। আমার স্ত্রী হাঁ করে ঘুমাচ্ছিল তার মুখ দিয়ে একটা ইঁদুর ঢুকে গেছে।
: আপনি উনার মুখে এক টুকরো কেক নাড়তে থাকুন আমি আসছি।
ডাক্তার এসে দেখেন লোকটি তার মুখে কেক না নেড়ে মাছের কাঁটা নাড়ছে।
: ও কী করছেন, আপনাকে না কেক নাড়তে বললাম ?
: দাঁড়ান, দাঁড়ান আগে তো বিড়ালটা বের করি।


৭১-

আগে বিড়ালটা বের করি

: ডাক্তার জলদি আসুন। আমার স্ত্রী হাঁ করে ঘুমাচ্ছিল তার মুখ দিয়ে একটা ইঁদুর ঢুকে গেছে।
: আপনি উনার মুখে এক টুকরো কেক নাড়তে থাকুন আমি আসছি।
ডাক্তার এসে দেখেন লোকটি তার মুখে কেক না নেড়ে মাছের কাঁটা নাড়ছে।
: ও কী করছেন, আপনাকে না কেক নাড়তে বললাম ?
: দাঁড়ান, দাঁড়ান আগে তো বিড়ালটা বের করি।


৭২-

নুডিস্ট কলোনির ঠিকানা

: ডাক্তার সাহেব দেখেন আমার দুই পায়ের অবস্থা। আপনার ট্রিটমেন্টে দুই পা ফুলে কী হয়েছে। কাল থেকে তো মনে হচ্ছে প্যান্টই পরতে পারব না … এখন কী করবেন করেন।
ডাক্তার খস খস করে একটা কাগজে কিছু লিখে পা ফোলা রোগীর দিকে বাড়িয়ে দিল।
: এটা কী ?
: নুডিস্ট কলোনির ঠিকানা ।


৭৩-

সেলাই

এক লোক মারাত্মক আহত হয়েছে। হাতে লম্বা সেলাই লাগবে। আপারেশন টেবিলে শুয়ে সে কাতর চোখে ডাক্তারকে বলল
: ডাক্তার সাহেব একটা কথা…
: কী কথা বুঝতে পেরেছি আর বলতে হবে না …. সেলাইয়ের সময় যেন ব্যথা না দেই এই তো ?
: না না, তা নয় ডাক্তার সাহেব, সেলাই তো করবেনই লগে আমার শাটের হাতার বোতামটাও একটু সেলাইয়া দিয়েন, ছুইটা গেছে।


৭৪-সাহস দিচ্ছিলেন
: এ কী! অপারেশন থিয়েটার থেকে আপনি ছুটে পালাচ্ছেন কেন?
: কারণ নার্সটি বলেছিল, ভয় পাবার কী আছে? এ তো খুব সহজ অপারেশন।
: নার্স ভালোই বলেছেন, তিনি আপনাকে সাহস দিচ্ছিলেন।
: আমাকে নয়, আমাকে নয় তিনি সাহস দিচ্ছিলেন ডাক্তারকে।

৭৫-কারন বাঁচতে হবে
এক অধ্যাপক অসুখ হলেই দেরি না করে ডাক্তার ডাকতেন। কারণ ডাক্তারকে তো খেয়ে পরে বাঁচতে হবে। রোগীরা না ডাকলে তো সে অনাহারে মারা যাবে। তারপর ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ কিনে আনতেন। কারন ফার্মেসিওয়ালাদেরও তো বাঁচতে হবে। কিন্তু ওই ওষুধ কখনো খেতেন না তিনি। কারন তাঁকেও তো বাঁচতে হবে।


৭৬-ভুলে যাওয়ার ব্যামো
রোগীঃ ডাক্তার, আমার না ভুলে যাওয়ার ব্যামোয় ধরেছে।
ডাক্তারঃ কবে থেকে এই রোগের শিকার হয়েছেন?
রোগীঃ অ্যাই ডাক্তার, কোন রোগের কথা বলছিস? আমি দিব্যি সুস্থ। খালি পয়সা বের করার ধান্দা, না।

৭৭-ট্যাবলেট খাওয়ার জায়গা
এক ছেলে মিষ্টি খেতে খেতে পেট ভরে একেবারে অজ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর-
ডাক্তারঃ একটু হাঁ করে এই ট্যাবলেটটা খাও তো, বাবা।
রোগী ছেলেঃ এই ট্যাবলেট খাওয়ার জায়গা থাকলে আমি আরেকটি মিষ্টি খেতাম।


৭৮-

চশমা খোঁজার অধিকার

জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচণ্ড গরমে এক দুপুরে কোনো একটা প্রেক্ষাগৃহে এক বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্র বিকল থাকায় শুধু পাখার ব্যবস্থা ছিল। তবু গরমের প্রচণ্ডতায় কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎ এক বুড়োমতো ভদ্রলোককে মেঝেতে হামাগুড়ি খেয়ে পড়তে দেখলেন তাঁরই পাশে বসা ফার্স্ট এইডের ট্রেনিং নেওয়া ভদ্রমহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উবু হয়ে বসে ভদ্রলোককে পরামর্শ দিলেন, ‘মাথাটা দুই হাঁটুর মধ্যে গুঁজে চুপচাপ বসে থাকুন। মাথায় রক্ত চলাচল হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রলোক যতবারই উঠে বসতে চান, মহিলাটি ততবারই তাকে জোর করে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকতে বাধ্য করেন আর বলেন, ‘এই তো এক্ষুনি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
না পেরে ভদ্রলোক শেষে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, ‘একটা লোকের চশমা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার কোনো অধিকারও কি থাকবে না? আমি তো আমার চশমা খুঁজছিলাম মেঝেতে।’

৭৯-আবার আসবেন
সাদেক সাহেব অসুস্থ হয়ে কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ সময়টুকু একজন হাসপাতালকর্মী তাঁকে খুব সাহায্য-সহযোগিতা করেন। ফলে রিলিজ হওয়ার দিন সাদেক সাহেব তাঁকে বেশ ভালো বকশিশ দিলেন। এত বকশিশ পেয়ে ওই কর্মচারী আনন্দে কেঁদে ফেলে বলল, ‘আবার আসবেন, স্যার।’


৮০-

কী জ্ঞান মামার

ছোট মামাকে নিয়ে ডাক্তারখানায় গেলাম। সারা শরীরে ব্যথা। ডাক্তার মামাকে দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে হাতে ধরিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মামা আমাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। বলল, ‘হায় হায়! তাড়াতাড়ি চল, আমার ব্যাগ রেখে এসেছি।’ বলেই দ্রুত প্রস্থান করল। বাইরে এসে মামা বলল, ‘আরে হাঁদারাম, ডাক্তার যখন প্রেসক্রিপশন লিখছিল, দেখলাম শুধু নাপা ট্যাবলেট দিয়েছে, দুই দিনে ছয়টি খাওয়ার জন্য। ছয়টি ট্যাবলেট খেলে যদি অসুখ ভালো হয়ে যায়, তাহলে ৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে লাভ কী? তাই বুদ্ধি করে চলে এলাম।’ কী জ্ঞান মামার!